করুণাময় সিংহ, রতুয়া: বর্ধিত বর্ষায় ভয়াল রূপ গঙ্গার (River Ganga)। সেই গঙ্গার জলেই ভেসে যাচ্ছিল সদ্যোজাত শিশু (Newborn Baby)। প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় কোনও রকমে শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল তার। সেই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করলেন স্থানীয়রা। অল্পের জন্য প্রাণ রক্ষা হয়েছে শিশুটির। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এখন শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল।


প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় গঙ্গায় ভাসতে দেখা গেল শিশুকে


মালদা (Malda News) জেলার রতুয়া (Ratua news) থানা এলাকার নয়া বিলাইমারি এলাকার ঘটনা। শুক্রবার সকালে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা চোখে পড়ে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় শিশুটি ভেসে যাচ্ছিল। সেই দৃশ্য দেখে চমকে ওঠেন স্থানীরা। গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তাঁদের মধ্যে কয়েক জন। তাতেই সদ্যোজাত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় নদী থেকে। 


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গঙ্গার জল থেকে উদ্ধারের পর শিশুটিকে মহানন্দটোলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে, রেফার করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজে। আপাতত সেখানে স্থিতিশীল রয়েছে তার শারীরিক অবস্থা। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। 


আরও পড়ুন: Coochbehar Durga Puja : সারা রাজ্যে বিজয়ার সুর, তারই মাঝে নতুন করে দেবী আরাধনা শুরু কোচবিহারে


বর্ধিত বর্ষার জেরে এই মুহূর্তে গঙ্গার চেহারা ভয়াল। স্রোতের টান মারাত্মক। তাতে অদ্ভূত ভাবে শিশুটির বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তি পেলেও, গোটা ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছেন নয়া বিলাইমারি এলাকার গ্রামবাসীরা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, শিশুটির শারীরিক অবস্থা উদ্বেগে রেখেছিল সকলকে। তবে শিশুটি সুস্থ হওয়ার দিকে এগনোয়, স্বস্তিতে তাঁরা। 


মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি শিশুটি


এই মুহূর্তে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে শিশুটি। সে সুস্থ হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরপা। পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী, ব্লক প্রশাসন ওই শিশুর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে।  মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাড়া হলে, আপাতত সরকারি হোমে রাখা হবে ওই শিশুটিকে। এমনটাই জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া।


কিন্তু কোথা থেকে ভেসে এল শিশুটি, কেই বা গঙ্গায় ভাসিয়ে দিল তাকে, উঠছে প্রশ্ন। এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য় হাতে পায়নি পুলিশ। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলছে তারা। কিন্তু আগামী দিনে শিশুটির কী হবে, কী তার ভবিষ্যৎ, তা উদ্বেগে রেখেছে স্থানীয় মানুষকে।