করুণাময় সিংহ, মালদা: মুচলেকা দিয়ে নিস্তার পেলেন শিক্ষকরা। সময় মতো স্কুলে আসার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর গ্রামবাসীদের অবরোধ থেকে মুক্ত হন শিক্ষকরা। এবার শিক্ষকদের স্কুলঘরে আটকে রেখে তালা বন্দী করে রাখল গ্রামবাসীরা। দুই ঘণ্টা পর পুলিশ ও এস আই এর উপস্থিতিতে শিক্ষকদের মুক্ত করা হয়। 


শিক্ষকরা সকলের সামনে ভুল স্বীকার করে নিয়মিত স্কুল আসবেন এবং শিশুদের পড়াশোনায় গুরুত্ব দিবেন বলে মুচলেকা দেয় স্কুল পরিদর্শককে। মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা সার্কেলের বারঘরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। 


জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্কুলে সঠিক সময়ে কোনও শিক্ষক না আসায় স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন অভিভাবকরা। খবর পেয়ে দুপুরে দুই শিক্ষক আসলে তাদেরকেও ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার অভিভাবকরা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষকদের স্কুলঘরে আটকে রেখে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা পর স্কুলে ছুটে আসেন স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিস।


আরও পড়ুন, 'স্লোগান মুছে দিয়ে কি আন্দোলন মোছা যায়?' প্রতিবাদের ভাষায় আলকাতরার ছোপ, কী বলছেন কিঞ্জল নন্দ?


তাঁদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং শিক্ষকদের মুক্ত করা হয়। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন। শীঘ্রই অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং করার পরামর্শ দেন স্কুল পরিদর্শক শর্মিলা ঘোষ।


এদিকে, মোবাইল গেমের পাসওয়ার্ড না দেওয়া নিয়ে বচসা, নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় খুন হল নবম শ্রেণির ছাত্র। মৃতের নাম প্রীতম বিশ্বাস। প্রথমে মারধর, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত, শেষে ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে বছর ১৫-র ওই কিশোরকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় দুই বন্ধুকে গ্রেফতার  করেছে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। ধৃত দুই নাবালক নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়া। পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার টিউশন পড়তে বেরিয়েছিল প্রীতম। রাতে বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে মাঠে ঝোপের মধ্যে তার দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহত ছাত্রের মোবাইল ফোন মেলেনি। পরিবারের দাবি, মোবাইল গেমে আসক্তি ছিল প্রীতমের। তা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বচসার জেরেই খুন বলে পুলিশের অনুমান।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে