বাপন সাঁতরা, আরামবাগ: হুগলির খানাকুলে এবার ত্রাণের জন্য ক্ষোভ। এখনও কোথাও কোথাও একতলা সমান জল। মারোকানা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্কুলবাড়ির দোতলা পর্যন্ত জল উঠেছে। DVC-র ছাড়া জলে ভাসছে খানাকুলের প্রায় ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। নৌকা বা কলার ভেলায় চড়ে চলছে যাতায়াত। 


অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে। বন্যা দুর্গতদের অভিযোগ, মাথার ওপর ত্রিপল জোটেনি, মিলছে না পর্যাপ্ত খাবার। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তাঁরা। যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রতিটি এলাকাতেই ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে।


নতুন করে জল না বাড়লেও ভোগান্তি বাড়ছে খানাকুলে। পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ উঠছে দিকে দিকে এখনও জলমগ্ন খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ২৪ টি পঞ্চায়েত এলাকায় ভাসছে ডিভিসির ছাড়া জলে। বাধ্য হয়ে অনেকে বাড়ির দোতলায়, আবার অনেকেই উঁচু রাস্তায় তাঁবু খাটিয়ে রয়েছে।


আরও পড়ুন, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না শেষ হতেই স্লোগানে আলকাতরার প্রলেপ! বেনজির এক দৃশ্য!


এক প্রকার প্রায় প্রতি বছর যে জল যন্ত্রণার ছবি দেখা যায় তারই ছবি ফের দেখা গেল খানাকুল জুড়ে। সেই পরিস্থিতিতেও পর্যাপ্ত পানীয় জল ও খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে দিকে দিকে। অনেকেই রোদ বৃষ্টিতে খোলা আকাশে থাকলেও জোটেনি ত্রিপলটুকু। জোটেনি পর্যাপ্ত খাবার। আর তার জেরে খানাকুলজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ।


যদিও প্রশাসন সূত্রে দাবি, সমস্ত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এখন একটাই দুশ্চিন্তা। কবে কাটবে এই জল যন্ত্রণা? আবার কবে ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দে? সেই আশায় দিন কাটাচ্ছেন খানাকুল বিধানসভার মানুষ।    


এদিকে, পুজোর মুখে বঙ্গোপসাগরে ফের দুর্যোগ ঘনাচ্ছে। আজই উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। তার জেরে সোমবার  বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা। ফলে রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস। কাল কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। চবে বৃষ্টি হলেও বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।                        



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে