করুণাময় সিংহ, মালদা: জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট জাল করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মালদার মানিকচক থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মহকুমা শাসক। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার, মালদারই মথুরাপুর থেকে ভূতনি থানার তাজপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত তপন মণ্ডলকে  গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, জাতিগত শংসাপত্র জাল করে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই, কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করা হয়।


কী ভাবে মিলল খোঁজ:
স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ৪ জনের জাতি শংসাপত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন, মালদা সদরের মহকুমা শাসক। ২ ফেব্রুয়ারি, সেই যাচাই প্রক্রিয়াতে ধরা পড়ে যে তপন মণ্ডলের শংসাপত্র আসলে জাল। তারপরেই মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এসডিও। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় তপন মণ্ডলকে। 


মালদা জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী উৎপল মণ্ডল বলেন, 'জাল শংসাপত্র কেসে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠিয়েছে, পুলিশ নিজের হেফাজতে চেয়েছে।' মালদা সদরের মহকুমা শাসক জানিয়েছেন, ৪ জনের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল। এসএসসি জানতে চেয়েছিল, এদের শংসাপত্র আসল কি না। তাঁদের মধ্যে একজনের জাতি শংসাপত্র জাল পাওয়া গিয়েছে। 


নিয়োগ দুর্নীতি এবং তার সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেন- এমন অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। একাধিক গ্রেফতার হয়েছে, উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্যও। জাতি শংসাপত্র জাল করে চাকরি পাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'এই রাজ্যে কোর্ট অর্ডার না দিলে কিছু হয় না।' মালদার তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, 'পুলিশ আছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।'


ধৃতকে শনিবার আদালতে তোলা হলে, তাঁকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় মালদা জেলা আদালত।









নিখোঁজ গোপাল: 
এদিকে ফের একবার খোঁজ নেই গোপাল দলপতির। এর আগে গোপাল দলপতি সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে এলেও, বৃহস্পতিবার CBI-এর ডাকে হাজিরা দেননি তিনি। তাঁকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না বলেই খবর। প্রসঙ্গত, গোপাল দলপতির জন্ম পূর্ব মেদিনীপুরে। কিন্তু গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়, দু-জনের ফ্ল্যাটের হদিশ মিলেছে দক্ষিণ কলকাতার বেহালায়। রাজা রামমোহন রায় রোডের এই বহুতলে ফ্ল্যাট রয়েছে হৈমন্তী ও গোপালের। পাশাপাশি এদিনই কোঁজ মিলেছে গোপাল দলপতির কোচিং সেন্টারেরও। 


আরও পড়ুন: ফের পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি, বকেয়া DA'র দাবিতে আন্দোলনে অনড়