অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: বন্দুক হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছবি পোস্ট। তাতে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের (TMC) যুব নেতা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলই তাঁর হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। যদিও অকারণে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করেছে জোড়াফুল শিবির।
মালদার (Malda News) হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা। সেখানকার ২ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সিরাজউদ্দিন আলি ওরফে পুকালু খান বন্দুক (Photo with Gun) হাতে নিজের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিপাকে পড়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি উঠছে।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) বন্দুক হাতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন সিরাজউদ্দিন। মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। আর তা নিয়েই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। প্রশ্ন ওঠে, যুব তৃণমূলের নেতার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এল? বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন শাসকদলের নেতারাই।
আরও পড়ুন: Housewife Death: খুন নাকি দুর্ঘটনা? হানিমুনে গিয়ে খাদে পড়ে মৃত্যু সদ্য়বিবাহিতার
বিজেপি-র এই অভিযোগ যদিও উড়িয়ে দেন যুব তৃণমূল নেতা এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, সেটি আসলে পাখি মারার বন্দুক। বিজেপি (BJP) তা নিয়ে অকারণ রাজনীতি করছে। কিন্তু তাঁদের এই বক্তব্যেও বিতর্ক থামছে না। শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন, তাই তাঁর হাতে বন্দুক কোথা থেকে এল, তার জবাব দিতেই হবে বলে দাবি উঠছে।
বিপুল জনসমর্থনে একের পর এক নির্বাচনে জয় লাভ করার পর দলের নেতা-কর্মীদের সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গত কয়েক দিনে একের পর এক তৃণমূল নেতা বিতর্কে জড়িয়েছেন। শুক্রবারই বিতর্কে জড়ান রানিগঞ্জের তৃণমূল নেতা। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারকে চূড়ান্ত হেনস্তার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তা নিয়ে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের হয়। বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে তৃণমূলও। এই ঘটনায় অভিযুক্ত রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নুনিয়া। নিগ্রহের শিকার ওই ইঞ্জিনিয়ার। সেখানে তাঁকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।