করুণাময় সিংহ, বামনগোলা: কৃষিকাজ নাকি উঠে যেতে বসেছে দেশ থেকে। প্রায়শই এমন আশঙ্কা শোনা যায় ইতিউতি। সেই আবহেই কৃষিকাজকে এগিয়ে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন মালদার মহিলারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করছেন তাঁরা। আর সেই বর্জ্য দিয়েই তৈরি হচ্ছে জৈব সার। বর্জ্য থেকে জৈব সার প্রস্তুতকারক ইউনিটও চালু হয়েছে মালদায়। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে জোর গতিতে চলছে কাজ। তাতে কৃষিকার্যের জন্য প্রয়োজনীয় সারের জোগান যেমন মিলছে, তেমনই মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। (Malda News) জেলা প্রশাসনও তাই আশাবাদী এই কাজ নিয়ে।


মালদা জেলার বামনগোলা ব্লকের কুমারপুর শ্মশান লাগোয়া গ্রামাঞ্চল থেকে দুই পুরসভা এলাকা, ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদাতেও জৈব সার তৈরির কাজ গতি পেয়েছে। স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করছেন মহিলারা। যে কারণে পুরসভার তরফে প্রত্যেক বাড়ি পিছু দু'টি করে প্লাস্টিকের ঢাকনা দেওয়া বালতি দেওয়া হয়েছে, যাতে একটিতে পচনশীল এবং অন্যটিতে প্লাস্টিক-জাতীয় বর্জ্য ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পৃথক ভাবে সেই বালতি ভর্তি বর্জ্য সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। (Malda Organic Fertiliser)


এই প্রকল্পের রূপায়ণে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দাদের এ ব্যাপারে উৎসাহ জোগানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মালদা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে বর্জ্য পদার্থ থেকে জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট, জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রাম নিয়ে জৈব সার তৈরির একটি ইউনিট চালু হয়েছে।  স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা কাজ করছেন সেখানে। তাঁরা বর্জ্য পদার্থ পৃথক ভাবে রাখার জন্য গ্রামবাসীদের সতর্কও করছেন। 


আরও পড়ুন: হাওড়ায় দামোদরের চর চুরিতে নাম জড়াল TMC নেতার, হাইকোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে BJP


পরে ওই আবর্জনা সংগ্রহ করে ইউনিটে নিয়ে গিয়ে জমা করছেন। সেখানেই তৈরি হচ্ছে জৈব সার। বামনগোলার মতো কালিয়াচক, ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদা, চাঁচল ব্লকেও প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশআসনের কর্তারা। জেলাশাসক নিতিন সিঙ্ঘানিয়া জানিয়েছেব, জেলার ১৫টি ব্লক এবং দুই পুরসভা এলাকার উদ্যমেই জোর গতিতে কাজ চলছে। এর ফলে এলাকায় বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ যেমন কমবে, কৃষিকাজে কাজে লাগবে এই জৈব সার আবার মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।