করুণাময় সিংহ, মালদা:  পুলিশ পরিচয় দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে মালদায় গ্রেফতার হলেন যুব তৃণমূল নেতা। শুক্রবার গভীর রাতে ব্যাঙ্গালোর থেকে ট্রেনে মালদা টাউন স্টেশনে নামেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক।


অভিযোগ, সেইসময় পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই শ্রমিকদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করেন যুব তৃণমূল নেতা আকাশ সাহা ও তাঁর সঙ্গী।  এরপর ওই শ্রমিকরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। আরেক অভিযুক্তের খোঁজে চলছে তল্লাশি। যুব তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির কটাক্ষ, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। অন্যায় করলে দল ব্যবস্থা নেবে, আশ্বাস তৃণমূলের। এর আগে জুলাই মাসে যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুখুরিয়া থানায় সরকারি আধিকারিককে অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। এরপর থেকেই তাঁকে খুঁজছিল পুলিশ।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে সরকারি অফিসের নাকের ডগায় বসে শংসাপত্র দুর্নীতির অভিযোগ, সই ও সিলমোহর জাল করে শংসাপত্র বিক্রির অভিযোগে মালদার চাঁচলে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক দলিল লেখক। এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে বলে  জানিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসার মতো মালদার চাঁচলে সরকারি অফিস চত্বরেই সক্রিয় ছিল প্রতারণাচক্র। মালদার চাঁচলের চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা রকিউল আলির দাবি, সম্প্রতি জমি নিবন্ধীকরণের জন্য তাঁর বংশতালিকার শংসাপত্র প্রয়োজন ছিল।সে জন্য চাঁচল এক নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে যান। অভিযোগ, ওই অফিস চত্বরেই কর্মরত এক দলিল লেখক  টাকার বিনিময়ে তাঁকে দ্রুত শংসাপত্র তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। বলা হয়, সইসাবুদের জন্য কোনও ঝঞ্ঝাট পোহাতে হবে না। বংশতালিকা শংসাপত্র হাতেও পান রকিউল আলি। কিন্তু, বিএলআরও আধিকারিকরা খুঁটিয়ে দেখে বুঝতে পারেন,শংসাপত্রে প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যের সই এবং সিলমোহর জাল করা হয়েছে।   থানায় অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।