মালদা: মালদায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিকে জেলা তৃণমূলে কোন্দল অব্যাহত। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে ওই ঘটনায় নিজের বিশ্লেষণ দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, 'এটা বিক্ষোভ নয়, নবজোয়ার দেখে তৃণমূলকর্মীদের উচ্ছ্বাস..'।


প্রসঙ্গত, গতকাল বিনোদপুরের পর আজ ইংরেজবাজারের কাজিগ্রামে বিক্ষোভ তৃণমূলের। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দলীয় কর্মীদের একাংশের। জেলা ছাড়ার আগে সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক,বিধায়ক, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক। সূত্রের খবর, '৭ দিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল জেলা সভাপতিকে নির্দেশ। একাধিক বিধায়ক, ব্লক সভাপতিকে ধমক অভিষেকের',পুরনোদের সঙ্গে নিয়ে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর কুণাল ঘোষ বলেন,'এটা কোনও বিক্ষোভ নয়, নবজোয়ার দেখে তৃণমূলকর্মীদের উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে সামনে পেয়ে নিজেদের দাবি-দাওয়া জানিয়েছেন তৃণমূলকর্মীরা।'


প্রসঙ্গত, অভিষেকের নবজোয়ারের মাঝেই জেলায় জেলায় দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। তবে প্রেক্ষাপট আলাদা। তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার অভিযানের মাঝে যেন থামছেই না ব্যালট-বিশৃঙ্খলা। এবার দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) হরিরামপুর। এক্ষেত্রেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সভাস্থল ছাড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছিল বিশৃঙ্খলা। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের পর এবার দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের নবজোয়ারে ফের 'ব্যালট' বিশৃঙ্খলা। তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে গিয়েছিল ব্যালট নিয়ে। ভোটদান প্রক্রিয়ার মাঝে শুরু হয়ে গিয়েছিল গন্ডগোল। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) জন্য তৃণমূলের প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ যাতে তৃণমূল কর্মী ও সাধারণ মানুষ পায়, সেই ব্যবস্থা করেছে ঘাসফুল শিবির।


তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সভামঞ্চ থেকে বঙ্গব্যাপী নবজোয়ার যাত্রা শুরুর আগে প্রার্থী বাছাইয়ের যে গণভোটের কথা ঘোষণা করেছিলেন। নব জোয়ার কর্মসূচি শুরুর দিনে কোচবিহারে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ার পর দিনই এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, 'বেশি রেকমেনডেশন পড়লে, ২০টা এক্সটা ভোট ফেলিয়ে দিয়ে, আসন সুরক্ষিত করবেন, মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। আপনারা তো ফোন করেও জানাতে পারেন, আমরা বারবার বলছি, রক্তপাতহীন নির্বাচন, প্রথম ধাপ প্রার্থী নির্বাচন, যারা ভোট দিতে পারবেন না, তারা ফোনে মতামত জানান'। কিন্তু তারপরও এ নিয়ে অশান্তি থামছে না।              


আরও পড়ুন, সবুজ পাতাজাতীয় সবজি Kale-র পুষ্টিগুণ, কী কী সমস্যার সমাধান করে?


 আরও পড়ুন, ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে মৌরী? রোজের মেনুতে উপকরণ রাখলে আর কী কী উপকার পাবেন?


গত ২৫ এপ্রিল তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা শুরুর দিনই কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল ব্যালট নিয়ে। যারপর জলপাইগুড়িতেও দেখা গিয়েছিল একই চিত্র। অন্যথা হয়নি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও। চোপড়া ,ইসলামপুর, চাকুলিয়া ও করণদিঘি বিধানসভার অন্তর্গত পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই নিয়ে ছিল ভোটাভুটি পর্ব। সূত্রের খবর, পছন্দের প্রার্থীর নাম লেখা নিয়ে শুরু হয় গন্ডগোল । প্রায় মিনিট দশেক ধরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে চলে তুমুল হাতাহাতি। প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে রবিবার হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে রীতিমতো চলে মারপিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামাতে হয় র‍্যাফ।