করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে শাসকের হুঁশিয়ারির রাজনীতি। কংগ্রেস (Congress)-সিপিএমের (CPM) কেউ প্রচারে গেলে, তাঁদের দাওয়াই দেওয়ার বিধান দিলেন মালদার (Malda) জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী। সাগরদিঘির আতঙ্ক থেকে শাসানি, কটাক্ষ বিরোধীদের। মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর কথায়, তোমাদেরকে তৃণমূল কংগ্রেস হুঁশিয়ার করে দিচ্ছে, গ্রামের মানুষকে বোকা বানানোর যদি চেষ্টা করো, গ্রামের রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে তোমাদের বিচার করা হবে। তোমাদের সেখানেই শাস্তি দেওয়া হবে।
অম্লান ভাদুড়ি বক্তব্য: এ প্রসঙ্গে, দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বক্তব্য, সাগরদিঘির রেজাল্টে বোঝা যাচ্ছে, সংখ্যালঘুরা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। স্বাভাবিক ভাবেই রহিম বক্সীর মতো নেতার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।
বাড়ছে হুমকির রাজনীতি: পঞ্চায়েত ভোটের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন বাড়ছে হুমকির রাজনীতি! সম্প্রতি, মুর্শিদাবাদের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। মাত্র দেড় বছর আগে, বিধানসভা নির্বাচনে, যে কেন্দ্রে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, জোটবদ্ধ ভাবে লড়ে সেই আসনই প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী। পঞ্চায়েত ভোটে সাগরদিঘির পুনরাবৃত্তি আটকাতে এখন যেন মরিয়া তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত প্রতিবেশী জেলা মালদা। পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়ে, বুধবার, মালদার রতুয়ায় যোগদান সভার আয়োজন করে তৃণমূল। আর সেই সভা থেকেই, প্রচারে গেলে বাম-কংগ্রেসকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেওয়ার বিধান দিয়েছেন খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি!
আব্দুর রহিম বক্সী আরও বলেনছেন, যারা আপনাদের বাড়িতে যাবে, সেই কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরুন, আচ্ছা করে দাওয়াই খাওয়ান, যাতে করে আর কোনওদিন কংগ্রেসের নাম নিয়ে পাড়ায় ঢুকতে না পারে, ঘুরতে না পারে। এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে তারা বুঝতে পারে মানুষকে আর ঠকানো যাবে না।
মালদা জেলার কংগ্রেস সহ সভাপতি ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলছেন, সাগরদিঘি উপনির্বাচন থেকে বুঝতে পেরেছে মানুষ সংগঠিত হচ্ছে, তাই এ ধরনের মন্তব্য। মালদা জেলার সিপিএম সম্পাদক অম্বর মিত্রের কথায়, চারদিকে চোর চোর রব ওঠায় তৃণমূল মারমুখী হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে সাগরদিঘির ঢেউ এখন প্রতিবেশী মালদা জেলাতেও।