ইংরেজবাজার : ফের দুর্ঘটনার কবলে ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA) শ্রীরূপা মিত্রর গাড়ি । বিজেপি বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা অপর একটি গাড়ির। তৃণমূল যুব-র নেতার গাড়ি এসে ধাক্কা মারে, দাবি বিজেপি বিধায়কের।


বিধায়েক কথায়, 'গতরাতে পৌনে ১০টা নাগাদ মানিকচকের দিকে থেকে ইংরেজবাজারের দিকে আসছিলাম। হঠাৎ উত্তর রামচন্দ্রপুর এলাকায় একটি কালো রঙের স্করপিও গাড়ি আমার গাড়িটিকে বিপরীত দিক থেকে আঘাত করে। তাতে গাড়ির ডানদিকটা ভেঙে যায়। পরে গাড়ি থেকে নেমে খোঁজ নিয়ে দেখতে পেলাম, গাড়িতে লাগানো রয়েছে একটি নীল রঙের বোর্ড। তাতে লেখা রয়েছে- তৃণমূল চেয়ারম্য়ান। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, গাড়িটিতে যিনি ছিলেন, তিনি ইংরেজবাজার কেন্দ্রের অমৃতি জিপি-র তৃণমূল যুবর চেয়ারম্যান। ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। এটা দ্বিতীয়বার আমার গাড়িতে হল এক মাসের মধ্যে। বিষয়টি ইংরেজবাজার থানাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।'


গত মাসের শেষদিকেও দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর গাড়ি। দুর্ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি বিজেপি বিধায়কের। ঘটনা নিয়ে মিল্কি ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের হয়। ২ জনকে আটক করে পুলিশ। রাত পৌনে ১১টা নাগাদ দলীয় কর্মীর বাড়িতে বিজয়া সেরে ফেরার পথে, মিল্কির খাসখল এলাকায় ইংরেজবাজারের বিধায়কের গাড়িতে ধাক্কা মারে মোটর বাইক। বাইকে ছিলেন চার যুবক। বিধায়কের গাড়ির পিছনের কাচ ভেঙে যায়। হাতে চোট পান শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। বিজেপি বিধায়ক সেই সময় দাবি করেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর বাইকে ধাক্কা মারেন চার যুবক। নিছকই দুর্ঘটনা, রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে করে পাল্টা দাবি করে তৃণমূল।


প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা না দিলে মহানন্দায় ফেলে দেওয়া হবে বিজেপি বিধায়ককে, ভোট চাইতে এলাকায় ঢুকলে ঘেরাও করা হবে। সম্প্রতি ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ককে এমনই হুঁশিয়ারি দেয় তৃণমূল। এনিয়ে অবশ্য মন্তব্যে করতে রাজি হননি বিধায়ক। মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মুর পর ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তৃণমূলের নিশানায় বিজেপি। 


মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসেরে সভাপতি ও বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, 'শ্রীরূপা মিত্র মহোদয়া, এখানকার বিধায়িকা, ভোট নিয়ে চলে গিয়ে আপনাদের সম্বন্ধে কোনও চিন্তা ভাবনা করছেন না। আপনাদের অনুরোধ করব, চলুন তাঁর বাড়ি ঘেরা করব। মালদায় তিনি থাকেন না। দিল্লিতে থাকেন। শুধু ভোটের স্বার্থে এখন এলাকায় এলাকায় ঘুরবেন। ঘেরাও করতে হবে, বাড়ি ঘেরাও করতে হবে। আর আমাদের ভুখা পেটের ভাত কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। সেটা আদায়ের লক্ষ্যে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখতে হবে। আমাদের আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। সেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে টাকা আসছে না কেন তাঁকে ঘেরাও করে জিজ্ঞাসা করতে হবে। '


প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে মালদার ইংরেজবাজারে পথসভা করে তৃণমূল। সেই সভা থেকে এলাকায় ঢুকলে বিজেপি বিধায়ককে ঘেরাও করা ও মহানন্দায় ছুড়ে ফেলার হুঁশিয়ারি দেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।