করুণাময় সিংহ, মালদা: অগ্নিকাণ্ডে (Fire) চারটি বাড়ি ভস্মীভূত মালদার (Malda) গাজোলে। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে বাসিন্দারা ঘর থেকে কোনও কিছু বের করতে পারেননি। অভিযোগ, খবর দেওয়া হলেও দেরি করে এসেছিল দমকল (Fire Tender)। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়। 


কী ঘটেছিল?
গাজোলের হরিদাসপুরের ঘটনা। আগুন লাগার পর পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে ঘর থেকে কেউ কিছু বের করতে পারেননি। আগুন নেভাতে প্রথমে এলাকাবাসীই চারটি পাম্প সেট মেশিন বা সিটি মেশিন নিয়ে আসেন। তার পর সেগুলি দিয় স্থানীয় পুকুর থেকে জল তুলে আগুন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। রক্ষা বলতে একটাই। স্থানীয়দের এই তৎপরতায় আরও বড় ক্ষতি হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে যায়। পাশপাশের বহু বাড়ি রক্ষা পেয়ে যায়। খবর গিয়েছিল দমকলেও। কিন্তু অভিযোগ, খবর দেওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। দমকলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন  এলাকাবাসী। কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গাজোল থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত মাসে ভয়ঙ্কর আগুন লাগে তপসিয়ার রাসায়নিক কারখানায়।


আগুন রাসায়নিক কারখানায়...
তপসিয়ায় রাসায়নিক কারখানার সেই আগুন আগুন নেভানোর কাজে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে এলাকাটি ঘন বসতিপূর্ণ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন দমকলকর্মীরা। মার্চ থেকে এপ্রিলের মাঝে ইতিমধ্যেই কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বারবার আগুন লাগার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় তো বটেই কখনও শর্টসার্কিটের কারণেও মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি তিলজলায় প্রিন্টিং কারখানাতেও ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে।  অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সেবার বাবা ও ছেলের। আর এক ছেলেকে চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।  তবে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটেছে। তাঁদের দাবি, আগুন লাগার খবর পেয়েও দেরিতে এসে পৌঁছেছিল দমকল বাহিনী। অপরদিকে, এপ্রিলের শুরুতে বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটেছিল রাজ্যে। সেবার ভরদুপুরে ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে গিয়েছিল রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের লোচনপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুর এলাকা। আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয় সেদিন প্রায়  ২৫টি বাড়ি। দমকল ও পুলিশ দেরিতে আসায় ক্ষোভ গিয়ে পড়েছিল পুলিশের গাড়িতেও। একটি পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, আগুনে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়ি। বাড়িতে থাকা একের পর এক গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল বলে দাবি ছিল স্থানীয়দের। আগুনে পুড়ে গিয়েছিল সমস্ত কিছুই। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল এলাকায় এই পরিবারগুলি।


আরও পড়ুন:পার্ক না কি ট্রেডমিল? দৌড়নোর লাভ কোথায় বেশি? কোনটা বাছবেন?