করুণাময় সিংহ, মালদা: কাঁধে কালী প্রতিমাকে তুলে কালী দৌড়। মালদার চাঁচলের ৩৫০ বছরের রীতি আজও জনপ্রিয়। মা কালীকে মাথায় নিয়ে দৌড়চ্ছে মানুষ। রাজার প্রচলিত রীতি মেনে মালদার চাঁচলের মালতীপুরে আয়োজিত হল ঐতিহ্যবাহী কালী দৌড় প্রতিযোগিতা।
মালতিপুর এলাকার আটটি কালী প্রতিমাকে কাঁধে নিয়ে ছোটেন এলাকাবাসী। কালী দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রচিত হয় সম্প্রীতির এক আশ্চর্য আবহ। তবে রীতির পিছনে লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস। দৌড়ে নিয়ে যাওয়ার পর যাদের কালী প্রতিমা অক্ষত অবস্থায় থাকবে, তাদের প্রতিমাকেই প্রথমে বিসর্জন দেওয়া হবে। নিজেদের পূজিত কালী প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে ঘাটের দিকে দৌড় লাগান উদ্যোক্তারা। রাজার প্রচলিত সেই রীতি মেনেই এখনও মালদার চাঁচলের মালতিপুরে আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী কালী দৌড় প্রতিযোগিতা। এবারও যার অন্যথা হল না। শুক্রবার সন্ধেয় কালী দৌড় প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হল এক অদ্ভুত পরিবেশ।
বীরভূমের ৫টি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম সাঁইথিয়ার নন্দীকেশ্বরী। কথিত আছে, সাধক বামাক্ষ্যাপা এই মন্দিরে পুজো দিয়ে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। সাঁইথিয়া জায়গাটি আগে নন্দীপুর নামে পরিচিত ছিল সবার কাছে। প্রচলিত জনশ্রুতি অনুসারে দেবী নন্দীকেশ্বরীর নাম অনুসারে এই শহরের নাম হয়েছিল নন্দীপুর।
৮০ দশকের সাঁইথিয়া শহরের ব্যবসায়ীরা সতীপীঠ নন্দিকেশ্বরীর অনেক সংস্কার করে বর্তমান যে মন্দিরটি রয়েছে সেই মন্দিরটি গড়ে তুলেছেন। একটি বিশাল বড় বটগাছ ছাতার মতঘিরে রেখেছে মন্দিরের প্রাঙ্গণকে। এখানে দেবী মূর্তি বলতে গেলে আছে শুধুমাত্র একটি পাথর। পাথরের গায়ে রয়েছে দেবীর সোনালী তিনটি চোখ আর মাথায় রূপালি মুকুট। মায়ের মূর্তিটি কালো পাথরের কিন্তু বর্তমানে এর রং প্রায় লাল। কারণ ভক্তরা প্রার্থনার জন্য পাথরের গায়ে সিঁদুর দিয়ে থাকেন। তাই লাল।
আরও পড়ুন, সপ্তাহান্তে জ্বালানি সস্তা এই ৭ জেলায়, আজ পেট্রোল ও ডিজেল ভরাতে খরচ কত ?
প্রসঙ্গত, গা ছমছমে পরিবেশে কয়েকশো বছরের প্রকাণ্ড বটগাছের তলায় বন্দেমাতরম মন্ত্রে এখনও পুজিত হন ভবানী পাঠকের কালী। একটা সময় ছিল যখন চারিদিকে জঙ্গল গা ছমছমে পরিবেশ খড়ের চালায় মায়ের মূর্তি প্রকাণ্ড এক বটগাছের তলায়। পিছনে রয়েছে প্রকাণ্ড এক জলাশয় নিচে ছিল সুরঙ্গ তার ধ্বংসাবশেষ এখনও দেখতে পাওয়া যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।