করুণাময় সিংহ, মালদা: ১৮ জন অস্থায়ী কর্মীকে ছাঁটাই করলেন পুরাতন মালদার প্রশাসক। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। সম্প্রতি পুরাতন মালদা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান হন বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী। দায়িত্ব নেওয়ার মাসখানেকের মধ্যে পুরসভার ১৮ জন অস্থায়ী কর্মচারীকে ছাঁটাই করেন তিনি। এই কর্মীদের কোনও কাজ ছিল না, অথচ ওদের বেতন দিতে মাসে খরচ হচ্ছে ৩৬ লক্ষ টাকা। সেই কারণেই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত, দাবি পুর প্রশাসকের। চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তের পাশে নেই দল, জানিয়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির কটাক্ষ, ১০ বছরে তৃণমূল জমানায় পুরসভা ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।


অন্যদিকে মালদায় ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে দলের পঞ্চায়েত প্রধানকে সরালেন বিজেপি সদস্যদের একাংশ। পঞ্চায়েতের সব বিজেপি সদস্যই তাদের দলে আসবেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। পাল্টা ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির। মতাদর্শের দিক থেকে ভিন্ন মেরুতে চার দল । কিন্তু উল্টো ছবি ধরা পড়ল মালদায়। তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিজেদের পঞ্চায়েত প্রধানকেই সরালেন বিজেপি সদস্যদের একাংশ। যে ঘটনায় ফের প্রকাশ্যে এল পদ্ম শিবিরের কোন্দল।


চাঁচলের গৌড়হণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত। অপসারিত হয়েছেন এই পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান পুষ্পা ওঁরাও। ১৫ আসনের পঞ্চায়েতে বিজেপির সদস্য রয়েছেন ৯ জন। কিন্তু তলবি সভায় প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বিজেপির ৪ সদস্য। তাঁরা সঙ্গে পেয়েছেন তৃণমূলের তিন জন, কংগ্রেসের দুই এবং বামেদের এক জন সদস্যকে।


দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন এঁরা। যদিও তা মানতে নারাজ অপসারিত পুষ্পা ওঁরাও। যে চার বিজেপি সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা কেউ দলবদল করেননি। তবে তৃণমূলের দাবি, আগামী দিনে বিজেপি সদস্যরা তাদের দলেই যোগ দেবেন। 


চাঁচল ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি রফিকুল হোসেন বলেন, বিজেপির নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলের জেরেই অনাস্থা। উন্নয়নের সামিল হতে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত সদস্যই তৃণমূলে যোগদান করবেন।