অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : বৃহস্পতিবার রাতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর।মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার গাজোল থানার নয়াপাড়া এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম অতুল রায় (৪৫)। তাঁর বাড়ি গাজোলেরই মাঝরা অঞ্চলের বলরামপুর এলাকায়। বৃহস্পতিবার গাজোল হাট থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। নয়াপাড়ার কাছে একটি লরি তাকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। পলাতক ঘাতক লরিটির খোঁজ করছে গাজোল থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত অগাস্টে বেসরকারি বাসের সঙ্গে অটোর মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল মালদার চাঁচলের বীরস্থলে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দুর্ঘটনার জেরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। অবরোধের জেরে প্রবল যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম সেতারা বিবি (৩২) ও মেয়ের নাম শাহনওয়াজ খাতুন(৬)। তাঁদের বাড়ি চাঁচলের বাশিলহাটে। অটোর আরও ৫জন যাত্রী গুরুতর জখম হন। তাঁদের সকলকেই চাঁচলের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। জানা গিয়েছিল যে, ওই দিন অটোতে করে মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি গঙ্গাদেবী এলাকায় যাচ্ছিলেন মা সেতারা বিবি। ওই সময় বীরস্থলে মালদহ থেকে চাঁচলমুখী একটি বেসরকারি বাস প্রচন্ড গতিতে এসে অটোটিকে ধাক্কা মারে। বেসরকারি বাসের ধাক্কায় অটো থেকে ছিটকে পড়েন যাত্রীরা। ঘটনাস্থলেই মা ও মেয়ে মারা যান।
এই দুর্ঘটনার কিছুদিন আগেই আগস্ট মাসেই বাজার সেরে বাড়ি ফেরার পথে টোটো ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক স্কুল শিক্ষকের। আহত হয়েছিলেন আরও দুইজন। মর্মান্তিক এই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল মালদা জেলার বাগবাড়ি চন্দন পার্ক এলাকায়। মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম পুলক মিশ্র। বয়স ৫৪ বছর। আহত হয়েছিলেন তার শ্যালক অমিত তিওয়ারি। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। এছাড়াও আহত হয়েছিলেন টোটো চালক।