করুণাময় সিংহ, মালদা: পাটের জমি (Jute Land), কোথাও চাষ হয়েছে, কোথাও আবার ঘাস-আগাছার জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, সরকারি বোর্ড বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১১ লক্ষ ২২ হাজার ৮৬৫ টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই জমিতে পুকুর খননের জন্য। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের প্রকল্পে পুকুর খননের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল মালদার মানিকচকে। 


সেখানকার উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে একশ দিনের প্রকল্পে ২২টি পুকুর খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অভিযোগ, তার মধ্যে একটি পুকুরও খনন করা না হলেও, বরাদ্দ অর্থ তুলে নেওয়া হয়েছে। এমনকি, টাকা পাননি পুকুরের জন্য জমিদাতারাও। যদিও, সময়মতো উপভোক্তার নাম-সহ জমির পাশে লাগানো হয় বোর্ড। 


জেলাশাসকের দ্বারস্থ গ্রামবাসীদের একাংশ: ইতিমধ্যেই, এ নিয়ে বিডিও থেকে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুরের অভিযোগকারী তারিখ আনোয়ারের অভিযোগ, আমার জমিতে পুকুর খননের নামে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। সেই টাকা প্রধান আত্মসাৎ করেছে। বিডিওকে অভিযোগ জানিয়েছি, জেলাশাসকেও। 


অভিযোগকারীদের বয়ান: ওই এলাকারই এক বাসিন্দা নুর ইসলাম বলছেন, আমার জমি, কাগজপত্র জমা করেছিলাম। বোর্ডও লাগানো হয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার পুকুরের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, অথচ এক কোদাল মাটিও তোলা হয়নি। শাস্তি চাই।


এ নিয়ে, বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান রুকসানা খাতুনের দাবি, তিনি দায়িত্বে আসার আগে এসব হয়েছে। এ বিষয়ে বলতে পারবেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন প্রধান বিউটি বিবির স্বামী।  উত্তর চণ্ডীপুরের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন প্রধানের স্বামী আতাউর রহমানের কথায়, বেশিরভাগ পুকুরের কাজ হয়েছে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কথায়, একশ দিনের কাজে জেলাজুড়ে ১৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মানিকচকও ব্যতিক্রম নয়। বেআইনিভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য এরা তৃণমূল করে। এ বিষয়ে, মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। 


আরও পড়ুন: Domestic Violence: বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে বিবাদ, কেরোসিন ঢেলে গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ