করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদার (Malda) চাঁচলে (Chanchal) বিজেপিতে (BJP) বিদ্রোহ। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি (bjp) ছাড়লেন মন্ডল কমিটির এক নেতা। তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। পদত্যাগী নেতার অভিযোগ মানতে নারাজ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।


দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বিজেপিতে বিদ্রোহের হাওয়া কি এবার উত্তরেও? দলের সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মালদার চাঁচলে বিজেপি ছাড়লেন এক নেতা। বিজেপি যুব মোর্চার চাঁচল ১২ নম্বর জেলা পরিষদ মন্ডল কমিটির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন সন্দীপ পাণ্ডে। রবিবার জেলা নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদ এবং দল, দুটি থেকেই ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। 


চাঁচলের বিজেপি ত্যাগী নেতা সন্দীপ পাণ্ডের কথায়, জেলার জেনারেল সেক্রেটারি রতন দাস নিজের একটি গোষ্ঠী বানিয়েছেন। কেবল তার গোষ্ঠীর কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনও বিষয়ে জেলা সভাপতিকে ফোনে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। কোনও কাজেই থাকেন না। চাঁচলে বিজেপি ত্যাগ নেতার। পদত্যাগী নেতার নিশানায় জেলার নেতারা। পাল্টা জবাব বিজেপি নেতৃত্বের। 


উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রতন দাসের কথায়, ২০১৪ সালের পরে সন্দীপ পাণ্ডে দলে এসেছেন। মতের অমিল হলে তা জানানোর সঠিক জায়গা রয়েছে। যারা এই অভিযোগ করছেন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করছেন।
  
উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের কথায়, কাউকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না, একথা সঠিক নয়। নতুন ও পুরাতনের মেলবন্ধনে বিজেপি পার্টি চলে এসেছে। আগামী দিনেও চলবে।


চাঁচলে বিজেপি ত্যাগ নেতার। স্বাগত জানাল তৃণমূল। মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র শুভময় বসুর কথায়, ধান্দাবাজে ভরে গিয়েছে বিজেপি। প্রকৃত যারা বিজেপি করত তারা কেউ বিজেপিতে থাকবে না। যাঁরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা সঠিক কাজ করেছেন। আমাদের দলে আস্তে চাইলে আবেদন করুন।স্ক্রুটিনি করে তাদের দলে নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে চাঁচলে বিজেপি নেতার দলত্যাগ ঘিরে তুঙ্গে তরজা।