অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: রাস্তায় পিচের বদলে দেওয়া হয়েছে ইটের টুকরো। খনাখন্দে ভরা রাস্তায় দুর্ঘটনা নিত্য সঙ্গী। ইটে ভেঙে তৈরি ছোটো বড়ো গর্ত। আর সেই গর্ত দিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাতায়াত। বর্ষাকালের পরে রাস্তা জলাশয়ের আকার ধারন করেছে। জমে রয়েছে বৃষ্টির জল। যার ফলে ডেঙ্গির (Dengue) আতঙ্ক নিয়ে ভুগছেন বাসিন্দরা। সমস্যার সুরাহার দাবিতে ক্ষোভ ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। মালদা (Malda District) জেলার চাঁচল (Chanchol) মহকুমা সদরের জামে মসজিদ থেকে পোদ্দার পাড়া ও শান্তি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। পিডব্লিউডির এই রাস্তা পিচ দিয়ে নির্মাণ করা হলেও, তা বেশিদিন টিকেনি। ক্ষোভের পরিমাণ বাড়ছে।
চলাচলের যোগ্য করার লক্ষ্যে পঞ্চায়েতের তরফে ইটের টুকরো ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও সমস্যা মেটেনি। রাস্তার পাশে মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে নিকাশি ব্যবস্থা। মাটি বুজে গিয়ে ড্রেন দিয়ে জল নিষ্কাশন না হওয়ায় রাস্তায় জল থৈ থৈ করছে বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। আর সেই জলে ইতিমধ্যে সাঁতার কাটছে হাস। এই রাস্তা দিয়ে চাঁচল সাপ্তাহিক হাটের সংযোগ রয়েছে। অধিকাংশ যানবাহন এই রুট ধরেই চলাচল করে। স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে নিশ্চয়যান ও যাত্রিবাহী টোটো গুলিও চলাচল করে। চলাচল করতে গিয়ে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে বাসিন্দারা জানাচ্ছেন।
পোদ্দারপাড়ার বাসিন্দা দেবার্য পোদ্দার জানান, ''একাধিকবার প্রশাসনকের লিখিত আকারে জানানো হলেও সমস্যা মেটেনি। দ্রুত রাস্তা পুনঃসংস্কার ও ড্রেন সংস্কার না করা হলেও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।''
সেই এলাকারই বাসিন্দা মায়ারানি পোদ্দার ক্ষোভের সুরে বলেন, ''রাতের বেলা রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায়না। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমার স্বামী নাই। দুর্ঘটনা ঘটলে কে দেখবে আমাকে।'' খেলেনপুরের আরজান বেওয়া জানালেন, ''রাস্তা ভাঙাচোরা, যত্রতত্র জল জমে রয়েছে। সরকার রাস্তা পাকা করুক। পাকা হলে হাজারো মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করবে।''
রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেন জানিয়েছেন, ''তহবিলে টাকা না থাকার কারণে কাজ স্থগিত রয়েছে। দুর্গাপুজোর পর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের তহবিল থেকে কাজ করা প্রচেষ্টা চালানো হবে। সেখানে জল নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুত উদ্যোগী হব আমরা।''
আরও পড়ুন: পুজোর মুখে বন্ধ ব্য়ারাকপুর ব্রিজ, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর