করুণাময় সিংহ, মালদা: বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে মালদা জেলার মোথাবাড়ি থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াগ্রাম এলাকায়। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম কৈলাস চন্দ্র দাস। তাঁর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী গীতা দাস আর এক ছেলে ও এক মেয়ে। বর্তমানে ওই সিভিক ভলান্টিয়ার মোথাবাড়ি থানায় কর্মরত ছিলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ইলেকট্রিক মিস্ত্রিও ছিলেন। সেইমতো আজ সকালে নিজের গ্রামে অন্যে এক ব্যক্তির বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করতে করতে যান। ইলেকট্রিকের কাজ করার সময় তিনি ছাদে উঠে ইলেকট্রিকের তার সারাই করছিলেন। সে সময় বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য আনা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসকেরা ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকস্তব্ধ মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পরিবার সহ গোটা গ্রামে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের দাদা গোপাল চন্দ্র দাস জানান, আমার ভাই সিভিক ভলেন্টিয়ার কাজের পাশাপাশি ইলেকট্রিকের মিস্ত্রি ছিলেন। আজ সকালে গ্রামে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। আমরা খবর পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে মৃত্যু হয় আমার ভাইয়ের।
উল্লেখ্য, গত বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার মতিঝিলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ কিশোরীর। রবিবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগে এভাবে অকালে চলে যেত হল দুই কিশোরীকে। প্রতিবেশী দুই কিশোরীই, অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার, বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই কিশোরী। পুরো রাস্তা জলমগ্ন থাকায়, সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ল্যাম্পপোস্টে হাত দেয় এক কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় অন্য কিশোরীও। স্থানীয়রাই দু’জনকে উদ্ধার করে।আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।