করুণাময় সিংহ, মালদা: জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে মালদার চাঁচলে রক্তারক্তি। জখম উভয়পক্ষের চারজন। তাঁরা চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মালদার চাঁচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্কি মোড়ের এই ঘটনায় উভয় পক্ষই চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার চাঁচলের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কল্কি মোড়ের বাসিন্দা আবেদ আলির ভাগে পাওয়া বসতভিটেতে তাঁর ছেলে বাড়ি করার সিদ্ধান্ত নেন। এ কথা তাঁর ভাইদের জানালে বড় ভাই দিল মহম্মদের ছেলেরা তাতে বাধা দেন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে আবেদ আলির ছেলে বেলালের উপর হামলা চালান দিল মোহাম্মদের ছেলে ইমরান, দাউদ হুমায়ুন। এরপরেই দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। এই ঘটনায় আহত হন উভয় পক্ষের চারজন। তড়িঘড়ি চারজনকে প্রথমে মালতীপুর গ্রামীণ হাসপাতাল পরে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই চারজন চিকিৎসাধীন। গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন বেলাল আলি।
এ বিষয়ে চাঁচল থানার আইসি সুকুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত শুরু হয়েছে।’
অন্যদিকে, বুধবার মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে বিধায়কদের দাবি-দাওয়া শোনেন তিনি। যদিও বক্তব্য রাখতে গিয়ে চাঁচল পুরসভার জন্য একটিও শব্দ খরচ করেননি এখানকার শাসক দলের বিধায়ক বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। আর এই নিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি সুমিত সরকারের বক্তব্য, ‘আসলে চাঁচল পুরসভা নির্বাচনে চমক ছাড়া কিছুই নয়। চাঁচলের মানুষকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বিধায়ক। মনে হয় না চাঁচল পুরসভার স্বপ্ন কোনওদিন পূরণ হবে।’
বিধায়কের আচরণে হতাশ চাঁচলের সাধারণ বাসিন্দারাও।
যদিও তৃণমূল বিধায়ক নিহার রঞ্জন ঘোষের দাবি, ১৫ দিন আগেই বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাঁচল পুরসভা গঠন নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত পুরসভা করার আশ্বাস দিয়েছেন। এরপর পুনরায় প্রশাসনিক বৈঠকে একই দাবি করা সঠিক হত না। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, ‘চাঁচল পুরসভা হবে না বলে যাঁরা বলছেন, তাঁরা আসলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’