করুণাময় সিংহ, মালদা: বাড়ির পাশে জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করে আক্রান্ত দম্পতি। এমনই অভিযোগ মালদার (Malda) গাজোলে (Gajol)। দম্পতিকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


দু’পাশে সবুজে মোড়া রাস্তার একধারে একখণ্ড জলাভূমি। তার পুরোটাই আগাছায় ঢাকা। মাটি পড়তে পড়তে প্রায় বুজে এসেছে! মালদার গাজোলে জলাভূমি ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদ করায় এক দম্পতিকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।


গাজোলের মনানিপুর এলাকার বাসিন্দা নগেন রবিদাস। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির পাশে আগে দু’বিঘা এলাকা জুড়ে ছিল পুকুর। জমি মাফিয়া মাটি ফেলতে ফেলতে এখন তা কার্যত ডোবায় পরিণত করেছে।  জলাভূমি ভরাট করে জমি বিক্রির চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। ব্যক্তির দাবি, কয়েকদিন আগে তিনি ও তাঁর স্ত্রী বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা খুনের হুমকি দেয়। 


অভিযোগকারী নগেন রবিদাস বলছেন, বর্ষাকালে জল নিকাশির অন্যতম মাধ্যম এই পুকুর। তা ভরাট হয়ে গেলে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। অল্প বৃষ্টিতে জলমগ্ন হবে এলাকা। প্রতিবাদ করায় মারধর। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।


চলতি মাসের গোড়ায়, থানার আইসি এবং দলের ব্লক সভাপতির মদতে ফুলহার নদীর পাড় থেকে মাটি পাচারের অভিযোগে সরব হন মালদার রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক। ফের জমি মাফিয়ার দৌরাত্ম্যের অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। 


দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ির কথায়, শাসক দলের মদত ছাড়া এ ধরনের ঘটনা সম্ভব নয়। প্রশাসনের একটা অংশ এবং শাসক দলের নেতারা একত্রিত হয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে।


তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর কথায়, দল বা সরকার এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না। জেলাশাসক তদন্ত করছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলাশাসকের কাছে এবং গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নগেন রবিদাস। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।