করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা  : সম্পত্তি নিয়ে শরিকি বিবাদের জেরে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ভাইকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল সৎ দাদার বিরুদ্ধে। মৃতের ভাইপোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম জাহাঙ্গির আলম। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির সামনে রাস্তা ও সীমানা পাঁচিল দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জাহাঙ্গিরের সঙ্গে সৎ দাদা মতিয়ুর রহমানের বিবাদ চলছিল।


অভিযোগ, মঙ্গলবার ওই রাস্তা দিয়ে ইট নিয়ে যেতে সৎ ভাইকে বাধা দেন মতিয়ুর। বিবাদের জেরে জাহাঙ্গিরকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে ও গলা টিপে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের নাম জাহাঙ্গির আলম। বছর ৫০ বছর। অভিযুক্ত সৎ দাদা পলাতক। 

আরও পড়ুন :


বারুইপুরে ভুল করে মদের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে খেয়ে ফেলে ৪ জনের মৃত্যু


স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির সীমানা ও সামনের রাস্তার মধ্যে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জাহাঙ্গিরের সঙ্গে তাঁর সৎ দাদা মতিয়ুর রহমানের বিবাদ চলছিল। মৃতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত ৮টার সময়, রাস্তার উপর পাঁচিল তৈরির জন্য ইট নিয়ে যেতে সৎ ভাইকে বাধা দেন দাদা। এরপরই দুজনের মধ্যে বচসা চরমে ওঠে। অভিযোগ, জাহাঙ্গিরকে প্রথমে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর ও তারপর সেই বাঁশ দিয়েই গলা টিপে খুন করে মতিয়ুর ও তাঁর ছেলে।  


ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মৃত ব্যক্তির স্ত্রী খাইরুন বিবি জানান , ' আমার স্বামীর সৎ দাদা মতিউর এবং তার ছেলে সাফাতুল্লাহ দুজনে মিলে  আক্রমণ করে। দুজনে মিলে বাঁশ দিয়ে নৃশংস ভাবে আমার স্বামীকে পেটায়। তারপরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আমি চাই আমার স্বামীর খুনিদের সাজা হোক। সামনেই আমার মেয়ের বিয়ে ছিল। এখন কীভাবে কী হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।'


সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ বাধলে, অনেক সময় তুচ্ছ হয়ে যায় দাদা-ভাইয়ের সম্পর্কও । মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনা, তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত মতিয়ুর রহমানের খোঁজ চলছে।  ঘটনার পর থেকে এলাকাছাড়া অভিযুক্তের বাড়ির লোক।