করুণাময় সিংহ, মালদা:  মালদায় বিজেপি শিবিরে জোড়া ধাক্কা। তৃণমূলের ডাকা অনাস্থায় পুরাতন মালদায়  একটি গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। অন্যদিকে, কালিয়াচকে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রস্তাব এনে মুখ পুড়ল গেরুয়া শিবিরের। তলবি সভায় এলেন না বিজেপি সদস্যরাই। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা ধরে রাখল তৃণমূল।


বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে মালদায় বিজেপির ভাঙন চলছেই। এবার তৃণমূলের আনা অনাস্থায় মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির। আর বিজেপি অনাস্থা ডেকেও দখল করতে পারল না তৃণমূল পরিচালিত চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। দুটি ঘটনাতেই প্রকাশ্যে এসেছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল।


পুরাতন মালদায় ১৬ আসনের মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত। ১০টি আসনে জিতে সেখানে বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। তৃণমূল ৫টি ও কংগ্রেস ১টি  আসন পায়।সম্প্রতি বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। আস্থা ভোটে তৃণমূলের পক্ষে ভোট পড়ে ১১টি। বিজেপির ৫ সদস্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন। তার জেরে অপসারিত হন প্রধান।


অন্যদিকে, কালিয়াচকে তৃণমূল পরিচালিত চরিঅনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা ঢেকে মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। ১৪ আসনের এই পঞ্চায়েতে ৭টি তৃণমূলের দখলে, ৩টি বিজেপির, কংগ্রেস এবং নির্দলের দুটি করে আসন রয়েছে। বিজেপির ৩ জন, কংগ্রেসের ২ জন এবং নির্দলের একজন তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন।কিন্তু তলবি সভায় বিজেপি সহ কোনও বিরোধী সদস্যই হাজির হননি। ৮-০ ভোটে খারিজ হয়ে যায় অনাস্থা। 


মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু এই ঘটনায় বিজেপিকে তীব্র  কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, বিজেপির কিছু নেই শুধু ফাঁকা আওয়াজ আছে। চাইলে একদিনে পুরো বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে।


অন্যদিকে, মালদা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেছেন,নিজেদের মধ্যে বিবাদে মুচিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত হাতছাড়া হয়েছে। তবে চরি অনন্তপুরের ক্ষেত্রে বিজেপি সদস্যদের ভয় ও প্রলোভন দেখানো হয়েছে।


নদী ভাঙনে ভুক্তভোগী মালদা জেলায়, দলে ভাঙন ঠেকানোই এখন বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।