অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : ফুলহার নদীর জলে প্লাবিত একাধিক গ্ৰাম। চরম বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ফুলহার। এই পরিস্থিতিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে উঠছে দলবাজির অভিযোগ। বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় ত্রাণ মিলছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভও দেখান এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ফুলহার নদী সংলগ্ন ইসলামপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের প্লাবিত রশিদপুর, খোপাকাঠি, মীরপাড়া তাঁতিপাড়া, ভাকুরিয়া এলাকায়।


এলাকাবাসীর বক্তব্য, জল দুয়ারে চলে এসেছে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপিকে ভোট দেওয়ার 'অপরাধে' ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে বেছে বেছে শুধুমাত্র শাসক দলের সমর্থকদেরই ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। নদীর জল বেরিয়ে ঘরে চলে এসেছে, তবু এখনও পর্যন্ত প্রশাসনিক কোনও প্রতিনিধি বা জন-প্রতিনিধির দেখা মেলেনি। জলের মধ্যে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। ভাকুরিয়া এলাকায় কম বেশি প্রতি বছরই নদীর জলে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এবারও সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।


এরই মধ্যে ত্রাণ বিলি নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির তরজা। জেলা তৃণমূল নেতা বুলবুল খানের দাবি, তৃণমূল সরকারের কাছে সবাই সমান। তৃণমূল এসব রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে আমরা নিজেরা গিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌঁছে দিয়ে আসব। তৃণমূল সরকারকে বদনাম করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। 


যদিও পাল্টা বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য কুন্দন মণ্ডল বলেন, ত্রাণ, ত্রিপল তৃণমূলের লোক সব লুটপাট করে নিজেরা বিক্রি করে দিচ্ছে। ভ্যাকসিন শুধু তৃণমূলের লোকগুলোই পাচ্ছে। আর এখানকার লোকগুলোকে বিহার যেতে হচ্ছে। সব কিছুতেই রাজনীতি করছে তৃণমূল।


সম্প্রতি রতুয়ায় গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জলের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতির অবনতি হয়। ব্রিজের উপর গবাদি পশুদের নিয়ে ত্রিপল খাটিয়ে বসবাস করেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রায় ২০০ বিঘা জমির ফসল চলে গেছে জলের তলায়।