করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের কালিয়াচকের বীরনগরে গঙ্গায় শুরু হয়েছে ভাঙন। রবিবার দুপুর থেকেই পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। এর জেরে গঙ্গা গর্ভে একে একে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি, ফসলি জমি। গত ১২-১৪ ঘণ্টায় প্রায় ১০-১২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রায় এক কিলোমিটার অংশ জুড়ে চলছে ভাঙন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। নিজেরাই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে শুরু করেছেন তাঁরা।
এদিকে, ভাঙন রুখতে ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রশাসন অথবা ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। বর্ষার শুরু থেকেই কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে।
এর আগে, কালিয়াচকে গঙ্গার ভাঙন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল। ভিমা গ্রামে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র। অনেকদিন আগে থেকেই কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের তিন নম্বর বিস্তীর্ণ এলাকায় শুরু হয়েছিল ভাঙন। এর জেরে তলিয়ে যায় ভিমা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আস্ত দোতলা বাড়ি। আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে শুরু করেছিল সেই সময়ও। পাশাপাশি মানিকচকে গঙ্গার জল বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছিল ৫-৬টা গ্রাম। ভূতনির চড় এলাকার কষিঘাটেও গঙ্গায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন, ওড়িশায় স্থলভাগে ঢুকল গভীর নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
এক মাস আগের টানা বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়েছিল মালদার ভূতনির কেশবপুরে। সেখানে গঙ্গার বাঁধ ভেঙে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছিল। সেখানকার একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছ। যদিও অস্থায়ী বাঁধ এর মাধ্যমে জল আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ঠিক করা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে, গভীর নিম্নচাপের জের রাজ্যে। উত্তাল দিঘার সমুদ্র। পুলিশের তরফে সকাল থেকে শুরু হয়েছে মাইকে প্রচার। মত্স্যজীবীদের আগামীকাল পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, পর্যটকদেরও নামতে নিষেধ করা হয়েছে সমুদ্রে।