অভিজিৎ চৌধুরী ও করুণাময় সিংহ, মালদা : শেষ রক্ষা হল না ! ফাঁস হয়ে গেল 'গুণধর' ছেলের কীর্তি ! ঘটনায় তাজ্জব বনে যান সকলে। কেলেঙ্কারি নিয়ে ব্লক এবং জেলা প্রশাসনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন খোদ ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জোট পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মোটা টাকার বিনিময়ে এই জালিয়াতিতে সহায়তা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিরোধীরা।
কী ঘটনা ?
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার বাসিন্দা পীযূষ কান্তি রায়, তুষার কান্তি রায় এবং শিশির কান্তি রায়। যাঁরা সম্পর্কে দাদা, ভাই এবং প্রত্যেকেই বেঁচে রয়েছেন। এই তিনজনের মালিকানায় রয়েছে দেড় বিঘা জমি। যে জমির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা।
তুষার কান্তি রায়ের 'গুণধর' ছেলে তুহিন কান্তি রায়। যিনি জীবিত বাবা, কাকা এবং জেঠুকে 'মৃত' বানিয়ে জালিয়াতি করে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সার্টিফিকেটে সই রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যা বর্ষা দাসের। যদিও তুহিন কান্তি রায় যে বুথের বাসিন্দা সেই বুথের সদস্য নন এই বর্ষা। তারপরও তিনি কীভাবে সই করলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আবার পঞ্চায়েত প্রধানকে ভুল বুঝিয়ে তিনি সেই সার্টিফিকেটে সই করান।
এদিকে জমি বিক্রির জন্য ভূমি সংস্কার দফতরে ওয়ারিস সার্টিফিকেট ইস্যু করার পর শুনানির সময় ঘটনায় পর্দা ফাঁস হয়ে যায়। ধরা পড়ে যায় জালিয়াতি। তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক উদয় শঙ্কর ভট্টাচার্য এই নিয়ে বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এনিয়ে অভিযুক্ত এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা ক্যামেরার সামনে মন্তব্য করেননি।
ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যুর কথা শিশির কান্তি রায় মেনে নিলেও, এনিয়ে মুখ খুলতে চাননি।
কংগ্রেসের দাবি, তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা মোটা টাকার বিনিময়ে এই জালিয়াতিতে সহায়তা করেছেন।
পাল্টা তৃণমূলের দাবি, যেহেতু হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি-কংগ্রেস ও সিপিএম জোট পরিচালিত, তাই দায়ভার তাদের নিতে হবে।
পাল্টা বিজেপি কটাক্ষের সুরে বলেছে, তৃণমূলের আমলে 'মৃত' ভোটার ভোট দেয়। আবার জীবিত মানুষ 'মৃত' হয়ে যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।