মালদা: হরিশ্চন্দ্রপুরে শিশুকন্যাকে অপহরণ, ৬ ঘণ্টা পর করণদিঘি থেকে উদ্ধার। হরিশ্চন্দ্রপুরে বাড়ির সামনে থেকে শিশুকন্যাকে অপহরণ। বাড়ির সামনে থেকে শিশুকন্যাকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় ২ ব্যক্তি। ৬ ঘণ্টা পর উঃ দিনাজপুরের করণদিঘি থেকে উদ্ধার শিশুকন্যা।
সম্প্রতি হাওড়াতেও একটি অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল। ১০ ঘণ্টার অপারেশন শেষে বেলুড়ের অপহৃত ব্যবসায়ী ও তাঁর ভাইকে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার একটি হোটেল থেকে উদ্ধার করেছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। ৫ জন অপহরণকারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃতরা নদিয়া ও মালদার বাসিন্দা। বেলুড়ের ভোটবাগানের বাসিন্দা ছাঁট লোহার ব্যবসায়ী ও তাঁর ভাই ব্যবসার কাজে নদিয়ায় যান।
অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছিল। ব্যবসায়ীর পরিবারকে ফোন করে সাড়ে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি জানিয়েছিল অপহরণকারীরা। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ প্রথমে নদিয়ায় গিয়েছিল। তার আগেই ব্য়বসায়ী ও তাঁর ভাইকে নিয়ে অপহরণকারীরা ফরাক্কায় রওনা দিয়েছিল। সেখান থেকেই পরে অপহৃতদের উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণেই অপহরণ বলে অনুমান পুলিশের।
চলতি বছরেই পুজোর আগে আরও একটি অপরহরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল।কিডন্যাপ হয়েছিল বীরভূমের এক আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রেতা !যদিও কিডন্যাপারদের শেষ রক্ষা হয়নি। মুক্তিপণ তো দূরের কথা, তার আগেই পর্দাফাঁস করেছিল পুলিশ। মফিজুল ইসলাম আয়ুর্বেদিক ওসুধ বিক্রেতা। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদে। সে রামপুরহাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
অভিযোগ, রবিবার দুপুরে মফিজুলকে রামপুরহাট থেকে কিডন্যাপ করে একটি গাড়িতে করে এএসআই লাল্টু হাজরা, একজন সিভিক এবং গাড়ি চালক বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিলেন।বোলপুরের সুপুর গ্রামের কাছে গাড়ি থেকে কোনওভাবে নেমে মফিজুল চিৎকার করতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা লাল্টু এবং তার সঙ্গে থাকা গাড়িটি আটক করে। বোলপুর থানার পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ লাল্টুকে আটক করে কিন্তু সিভিক এবং গাড়ির চালক পালিয়ে যায়। যখন পুলিশ লাল্টুকে গ্রেফতার করে তখন সে পুলিশের পোশাক পরে ছিল। লাল্টুর বাড়ি সাঁইথিয়া। সে মফিজুলের কাছে দেড় লক্ষ টাকা চেয়ে ছিল। তা না দেওয়ার জন্য কিডন্যাপ করা হয়েছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।