করুণাময় সিংহ(মালদা) : প্রধান নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। সেই কারণে দলের ৫ জন সদস্যকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। মালদার মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। যদিও অঞ্চল নেতৃত্বকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে পাল্টা দাবি করেছেন বহিষ্কৃত পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে মন্তব্য এড়িয়ে গেছে বিজেপি।


সম্প্রতি চৌকি মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধান মাম্পি রজকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বিজেপির অন্য সদস্যরা। দলীয় সদস্যদের অনাস্থায় অপসারিত হন প্রধান। ওই পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান নির্বাচিত হন বিজেপির সুকনি সাহা । প্রধান নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে ভোট দেন তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সদস্য। আর এতে ক্ষিপ্ত মানিকচকের বিধায়ক তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সাবিত্রী মিত্র। ওই পাঁচ সদস্যকে সরাসরি বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সাবিত্রী মিত্র বলেন, দলের গাইডলাইন না মেনে যাঁরা সাম্প্রদায়িক বিজেপির সাথে হাত মিলিয়েছেন তাঁদের দলে রাখা যাবে না। তাই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।


বহিষ্কৃত তৃণমূল সদস্য শেখ সাজিদ বলেন, অঞ্চল কমিটির সাথে আলোচনা করে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। সাবিত্রী মিত্র দলনেত্রী। উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নিতে হবে। 


বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, এটা তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা সংগঠন মজবুত করার জন্য নতুন প্রধান করতে চেয়েছিলাম। তা সফল হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, দলীয় সদস্যদের ডাকা অনাস্থায় মঙ্গলবার অপসারিত হয়েছিলেন কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রহমান। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ থেকে দলীয় নেতাকে সরাতে বিজেপি ও কংগ্রেস সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল তৃণমূল সদস্যদের একাংশ। 


কালিয়াচক ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২২টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে রয়েছে ১৩টি আসন। বিজেপির দখলে ৫, কংগ্রেসের ৩ ও ১টি আসন সিপিএমের। বিজেপির ৫ ও কংগ্রেসের ২ সদস্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূলের ৭ জন সদস্য অনাস্থা আনেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ভোটাভুটিতে হেরে অপসারিত হন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস।