করুণাময় সিংহ, মালদা: থ্রেট কালচার বন্ধ ও সটুডেন্ট কাউন্সিল গঠনের দাবিতে বুধবার অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা। সন্ধে ছটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। শেষে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। 


মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সুরক্ষা, থ্রেট কালচার বন্ধ-সহ একাধিক দাবিতে বুধবার মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করলেও, কোনও সমাধান সূত্র না মেলায়, আর জি কর-কাণ্ডে এখনও কর্মবিরতিতে অনড় আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে এবার থ্রেট কালচার বন্ধ, স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠনের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন মালদা মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা।বুধবার সন্ধে ছটা থেকে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। 


 কলেজ কর্তৃপক্ষ বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও তাতে ফল মেলেনি। মালদা মেডিক্যাল কলেজ তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সৌম্যদীপ কাঞ্জি বলেন, প্রতিটা কলেজে আগে যখন টিএমসিপি ইউনিট ছিল, আগে যখন একটা ইউনিটের আধিপত্য ছিল তখন থ্রেট কালচাল চালিয়ে ছাত্রদের একাংশকে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁদের ফেল করানো হয়েছে, তাঁদের হস্টেলের রুম দেওয়া হয়নি। তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাংলার প্রতিটা মেডিক্যাল কলেজে এটাই ছিল সার্বিক চিত্র। এই হুমকি কালচার, এই থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধেই আমাদের লড়াই। 


 মালদা মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষ  পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন,'কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এই ধরনের থ্রেট বা কোনও কালচারে আমরা জিরো টলারেন্স দেখাব, যথাযথ ব্যবস্থা নেব। কিন্তু আমরা এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি।' বুধবার সন্ধে ছটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলে। শেষে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের বিষয়টি। স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে বলে আশ্বাস দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে ছ-ঘণ্টা পর বিক্ষোভ অবস্থান তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। 


আরও পড়ুন, বিহারে সস্তা হল পেট্রোল ও ডিজেল, আজ বাংলায় জ্বালানি ভরাতে খরচ কত ?


মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ। মেডিক্যাল অফিসারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সরব হলেন IMA-এর বহরমপুর শাখার সম্পাদক। যদিও সেসব কিছুকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে, পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন মেডিক্যাল অফিসারও। ইন্ডিয়ান মেডিক্য়াল অ্য়াসোসিয়েশন (বহরমপুর) এর সম্পাদক  রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, সুমন বিশ্বাসই নর্থ-বেঙ্গল লবির অত্যন্ত কাছের হয়ে যান। আমি দীর্ঘদিন ১৪ বছর এই মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু এই প্রভাবশালী লবি আমাকে বদলি করে দেয়। কারণ আমি থাকাকালীন তাঁদের অনেককিছু সুযোগসুবিধা, তারা কিছু করতে পারছিল না। তারপর পরীক্ষার সময় যে প্রশ্নপত্রগুলো লিকআউট হওয়া শুরু হয়।এখনও এখানে কিন্তু হোস্টেলে কোন ছাত্র থাকবে, কোন ঘর পাবে, বরাদ্দ হবে, এগুলো কিন্তু প্রভাব বিস্তার করেন ডক্টর সুমন বিশ্বাসের দ্বারা।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।