করুণাময় সিংহ, মালদা: শ্মশানে সৎকার সেরে বাড়ি ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শ্মশান যাত্রীর। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মালদা জেলার পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায়। গতকাল গাজোল থানার বোলবাড়ি এলাকায় বানেশ্বরী মন্ডল বয়স (৬৫) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এরপর গ্রামের প্রায় ৩০ জন ছোট লরিতে করে মালদার সদুল্লাপুর মহাশ্মশানে সৎকার করতে যান। সৎকার সেরে বাড়ি ফেরার পথে সাহাপুর বাইপাসে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরিকে ধাক্কা মারে শ্মশান যাত্রীদের লরিটি। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন পাঁচজন। স্থানীয়রাই এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলাকালীন ভোররাতে মৃত্যু হয় অভয় মন্ডল নামে এক শ্মশান যাত্রীর। আহতদের চিকিৎসা চলছে।


পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শ্মশান যাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামে।


কিছুদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের রূপাহারে নয়ানজুলিতে বাস উলটে এক শিশু ও এক মহিলা সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে এঁরা সকলেই কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে যাচ্ছিলেন। শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে একটি বাস ভাড়া করা হয়েছিল। এরাজ্যের একাধিক জেলা থেকে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের তুলে লখনউ পৌঁছনোর কথা ছিল বাসটির। কিন্তু রাতে রায়গঞ্জেই ঘটে যায় বিপদ। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়ক থেকে নয়ানজুলিতে উল্টে যায় বাসটি। প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, মত্ত ছিলেন চালক। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর রাতেই ক্রেনের সাহায্যে হতাহতদের উদ্ধার করা হয়। নয়ানজুলির পাঁকে আরও কোনও যাত্রী আটকে রয়েছেন কিনা, তা নিশ্চিত করতে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। আহতদের ভর্তি করা হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।