করুণাময় সিংহ, মালদা : একই দিনে মালদার ইংরেজবাজারে দু'টি আলাদা জায়গায় জোড়া খুনের ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।


আজ সকালে আমবাগান থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটে মালদার ইংরেজবাজার থানার পাতালচণ্ডী এলাকায়। মৃতের নাম সুর রহমান। বাড়ি কালিয়াচক থানার সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাগ্রাম বাগানবাড়ি এলাকায়।


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজারের পাতালচণ্ডী এলাকায় পুকুর পাহারার কাজ করতেন তিনি। আজ সকালে পুকুরের পাশে আমবাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে কি কারণে এই ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি।


অপর একটি ঘটনা ঘটে ইংরেজবাজারের কুলি পাড়া এলাকায়। সেখানে এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছে দাদার বিরুদ্ধে। মৃতের নাম চন্দু পাসোয়ান (২১)। 


পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বড় ভাই বিকাশ পাসোয়ান গতকাল রাতে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। সেই সময় পাপন পাসোয়ান নামে আরেক ভাইয়ের সঙ্গে বিকাশের বিবাদ শুরু হয়। দুই ভাইকে ছাড়াতে যান চন্দু। অভিযোগ, সেই সময় বিকাশ চন্দুকে ছুরি মারে। 


গত মাসে মালদায় পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি অঞ্চলের মৌলপুর খাসপাড়া এলাকায় এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম আনজুরা খাতুন (১৯) । ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে সামিরুল শেখ নামে ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আনজুরার বাপের বাড়ি পুকুরিয়া থানার রতুয়া ব্লকের এলাহাবাদ গ্রামে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান, ছয় মাস আগে পুরাতন মালদা ব্লকের মঙ্গলবাড়ি অঞ্চলের মৌলপুর খাসপাড়া এলাকায় সামিরুল শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। দুই পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নিয়ে তাঁদের সামাজিকভাবে বিয়ে দেয়। বিয়েতে যৌতুক হিসাবে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও গয়না দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আনজুরার উপর টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। টাকা নিয়ে আসতে অস্বীকার করলে মাঝেমধ্যে তাঁকে মারধরও করা হত। মঙ্গলবারও, জামাই নাকি মারধর করেছে বলে আনজুরা তাঁর মাকে ফোন করে জানান। এর এক ঘণ্টা পরেই জামাইয়ের ফোন থেকে খবর যায়, আনজুরা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।