অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: গাড়ির সাউন্ড সিস্টেমের ভিতরে নিয়ে পাচার হচ্ছিল লক্ষাধিক টাকার মাদক দ্রব্য ও জালনোট। ঘটনায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে নাতে পাকড়াও ৩ পাচারকারী। পুজোর সময়ে নিরাপত্তা বজায় রাখতে জায়গায় জায়গায় চলছে বিশেষ নাকাচেকিং। মঙ্গলবার রাতে কাটাগর এলাকায় নাকাচেকিং-এর সময়ে একটি সন্দেহজনক গাড়িকে আটক করে পুলিশ।


এর পর তল্লাশি চালিয়ে সেই গাড়ির সাউন্ড সিস্টেমের ভিতর থেকে সাড়ে তিনশো গ্রাম ব্রাউন সুগার, এক লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে কুমার প্রশান্ত (৩৪)। বিহারের বাসিন্দা। নিজাম শেখ (২১) এবং ইব্রাহিম শেখ (২৯)  দু-জনই  কালিয়াচক মজমপুরের বাসিন্দা।


এর পাশাপাশি একটি ব্যাগে রাখা এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার ভারতীয় টাকা উদ্ধার হয় এদিন। বুধবার দুপুরে ডিএসপি হেডকোয়ার্টার প্রশান্ত দেবনাথ এই ঘটনাটি জানান। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে প্রশান্ত দেবনাথ জানিয়েছেন, কালিয়াচক থেকে বিহারের উদ্দেশে যাচ্ছিল একটি চারচাকা গাড়ি। ইংরেজবাজারের কাটাগর এলাকায় বিশেষ নাকা চেকিংয়ের সময়েই গাড়িটি আটক করে মাদক দ্রব্য ও জাল নোট উদ্ধার করে পুলিশ। আগামিকাল ১০ দিনের হেফাজতে চেয়ে ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হবে।


এর আগেও ইংরেজ বাজার থানার পুলিশ মাদক উদ্ধার করে। গত ১১ সেপ্টেম্বর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায়। বিপুল পরিমাণ বেআইনি ফেনসিডিলসহ এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করে ইংরেজ বাজার থানার অন্তর্গত মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ। ১১ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে মিল্কি স্ট্যান্ড থেকে মিঠুন সেখ নামে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 


ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১,১২০ বোতল বেআইনি ফেনসিডিল। পিচবোর্ডের বাক্সে ওই ফেনসিডিলগুলি মজুত করে বাইরে কোথাও পাচার করার পরিকল্পনা নিয়েছিল অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। কিন্তু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ওই মাদক কারবারিকে ধরে ফেলে। উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিলগুলির বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী পুলিশ কর্তারা। ধৃতকে শনিবার আদালতে পেশ করে মিলকি ফাঁড়ির পুলিশ।


১০ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়িতে পাচারের আগেই বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক কোটি টাকার সাপের বিষ। জলপাইগুড়িতে সাপের বিষ পাচার করতে গিয়ে বন দফতরের হাতে ধরা পড়ে একজন। উদ্ধার হয় প্রায় ১৩ কোটি টাকার সাপের বিষ। গোপন সূত্রে বিষ পাচারের খবর পেয়ে শুক্রবার গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন বনকর্মীরা। ধৃত ব্যক্তি দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা। ওই বিষ চিনে পাচারের ছক ছিল বলে জানতে পারেন তদন্তকারীরা।