করুণাময় সিংহ, মালদা: বরুই ও মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার একশো দিনের কাজের (100 Days Work) প্রায় দশ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের শাসকদল পরিচালিত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন এলাকার বাসিন্দারা।
কী অভিযোগ?
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, একশো দিনের প্রকল্পে পুকুর খনন থেকে শুরু করে উদ্যান পালন, কবরস্থানের প্রাচীর নির্মাণ, গাডওয়াল নির্মাণ, ক্যানেল সংস্কার, মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ ও রাস্তায় মাটি ভরাট এবং কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা তৈরির নামে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করার অভিযোগ রয়েছে প্রধান,উপ প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্য এবং সুপার ভাইজার ও একশো দিনের প্রকল্পের পঞ্চায়েত কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এও অভিযোগ যে, জমিতে কলা চাষের ভুয়ো বোর্ড লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে পঞ্চায়েত সদস্য ও সুপার ভাইজাররা। অপরদিকে রাতের অন্ধকারে জেসিবি মেসিন দিয়ে পুকুর কেটে ভুয়ো মাস্টার রোল বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে স্বজন পোষণের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আর অধিকাংশতেই কোনও কাজ না করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিটা দুর্নীতিমূলক কাজ প্রধান, উপ-প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীদের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, প্রেম না মেনেই অন্যত্র বিয়ে ঠিক পরিবারের, ছেলে-প্রেমিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার পুলিশের
কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী মহম্মদ সেখিল হোসেন জানান, কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটা বুথে একশো দিন প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। খাতায়-কলমে কাজ হয়েছে কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। এতে পুরোপুরি ভাবে জড়িয়ে আছে পঞ্চায়েত প্রধান,উপ প্রধান ও পঞ্চায়েত কর্মীরা। পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে। শুধু সময়ের অপেক্ষা। হাইকোর্টের নির্দেশে দুর্নীতিবাজরা শীঘ্রই শাস্তি পাবে বলে আশাবাদী।
প্রধান আক্তারি খাতুনের স্বামী আব্দুল রশিদ জানান, তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন। অভিযোগকারীরা তাদের কাছে টাকা দাবি করছিল, টাকা দিইনি বলেএই ধরনের মিথ্যা মামলা করেছে বলে দাবি।