করুণাময় সিংহ, মালদা: গঙ্গার ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেন বাংলার মন্ত্রী। ভাঙন রোধে দায় এড়াচ্ছে কেন্দ্র। বাংলাকে পর্যাপ্ত টাকা দিচ্ছে না মোদি সরকার। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। সোমবার মালদার কালিয়াচকে রাজ্য সরকারের উদ্য়োগে ভাঙন রোধের কাজের সূচনা করেন তিনি। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, কেন্দ্রের পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূল।


মন্ত্রীর অভিযোগ:
মালদার কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের পারলালপুরে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ। কিন্তু এই কাজ কে করবে? রাজ্য নাকি কেন্দ্র? তা নিয়েও চলছে তরজা। পর্যাপ্ত টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রকে দুষলেন রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী। কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের পারলালপুরে, ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে নদীবাঁধ। সেই কাজের সূচনা করে কেন্দ্রকে নিশানা করেন রাজ্যের সেচপ্রতিমন্ত্রী। সেচ প্রতিমন্ত্রী ও মোথাবাড়ির তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'নদী ভাঙন জাতীয় সমস্যা। কিন্তু কেন্দ্র সরকার হাত তুলে নিয়েছে। টাকা দিচ্ছে না। বারবার বলে, আন্দোলন করেও লাভ হচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজের সাধ্যমতো ভাঙন রোধের কাজ চালিয়ে যাবে। বর্ষার আগেই ভাঙনরোধের কাজ শেষ করা হবে।'


বিজেপির পাল্টা:
ভাঙন রোধ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি, 'কেন্দ্র সরকার টাকা বরাদ্দ করবে আর এখানে তৃণমূলের নেতারা লুঠপাট করবে তা হতে পারে না। রাজ্য সরকার ভাঙন রোধের কাজ করতে না পারলে তা পুরোপুরি কেন্দ্রকে হস্তান্তর করুক। কেন্দ্র পদক্ষেপ করবে।'


নদী ভাঙন মালদার বহু পুরনো সমস্যা। প্রতিবছর গঙ্গার পাড় ভেঙে তলিয়ে যায় বহু বাড়ি। প্রতিবছরই বর্ষা নিয়ে আতঙ্কে থাকে সেখানকার পরিবারগুলি। এবার বর্ষার আগে পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হওয়ায় কিছুটা হলেও নিশ্চিন্ত গ্রামবাসীরা। মালদার জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র বলেছেন, '১০ কোটি টাকার কাজ আরম্ভ হয়েছে। আরও ৭ কোটি টাকা অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারকে আবেদন জানানো হবে। ওই এলাকায় একটি জেটি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।'


আরও পড়ুন: থমকে একাধিক প্রকল্প, খতিয়ে দেখতে কোচবিহারে মন্ত্রী