করুণাময় সিংহ, মালদা: জাল আধার কার্ড-সহ (Fake Aadhar Card) গ্রেফতার এক বাংলাদেশি। হবিবপুর থানার টিকিয়াপাড়া ভারত -বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত (India Bangladesh Border Area) থেকে ওই বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ (BSF)। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ও নেপালি মুদ্রা উদ্ধার হয়েছে।


মূলত সীমান্ত এলাকায় পাচার রুখতে সব সময়েই কড়া নজর থাকে বিএসএফ-র। আর এবার হবিবপুর থানার সীমান্ত এলাকা থেকে মেহেদী হাসান শেখ নামে এক বাংলাদেশিকে  জাল আধার কার্ড-সহ-গ্রেফতার করেছে বিএসএফ।  তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৭৪০ টাকা ভারতীয় মুদ্রা,  দুশো দশ টাকা বাংলাদেশি মুদ্রা, কুড়ি টাকা নেপালি মুদ্রা। ও একটি জাল আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে। ধৃতকে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। বাংলাদেশি ঐ নাগরিকের গ্রেফতার করে মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।কী কারণে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় প্রবেশ করেছিল ওই বাংলাদেশি, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ। জাল আধার কার্ড কোথা থেকে পেয়েছিল ওই বাংলাদেশি, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। 


আরও পড়ুন, দরজা ভেঙে পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা-র ফ্ল্যাটে ইডি


তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও বহুবার সীমান্ত এলাকায় টাকা থেকে শুরু করে মাদক, মূল্যবান রত্ন পাচার হওয়ার মুখে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। হয়ে গরুপাচারের মতো ঘটনা। যা নিয়ে এখনও তদন্তে রয়েছে সিবিআই। নাম জড়িয়েছে শাসকদলের হেভিওয়েট অনুব্রত মণ্ডলেরও। তবে বারবার পাচার থেকে ভুয়ো ভোটার, আধার ধরা পড়ার সঙ্গে উলটপূরাণও আছে।কারণ যখন রাতের অন্ধকারে কেউ কাঁটা তারের পাশে ঘোরাফেরা করেছেন, বিএসএফ দাঁড়াতে বলার পরে, ভয়ে পালাতে গিয়েছেন। আর এই ভয় পাওয়াই কাল হয়েছে। কারণ পাচারকারী হলেও সাধারণত পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে নির্দোষ হওয়ার পরে কেউ যদি রাতে অন্ধকারে সীমান্তে আচমকাই পালাতে যায়, তাতে জটিলতা বাড়ে। এদিকে আগের থেকে এখন বিএসএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকার পরিমাণও অনেক বেশি। এই ইস্যুতে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র।