করুণাময় সিংহ, মালদাঃ গঙ্গা নদীর ভাঙনে তলিয়ে গেল স্কুলের একাংশ ( Malda School)। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মানিকচকের নারায়নপুর চড় এলাকায়। নারায়নপুর মেরিস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ তলিয়ে গেল নদী গর্ভে। শুধু মালদা দিয়েই শুরু নয়, এর আগেও গঙ্গার ভাঙনে বিপন্ন হয়েছে স্কুল। একেবারে কাছে চলে এসেছে গঙ্গা। হুগলির জিরাটের চরখয়রামারি প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস চলা নিয়ে খবর প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যমে এই খবর জানতে পেরে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গঙ্গার পাড় ভাঙনে বিপদজনক হয়ে পড়া জিরাটের চর খয়রামারি প্রাথমিক স্কুল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে বলেন,'জিরাটের স্কুলের খবর সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি।এভাবে একটি স্কুল চলতে দেওয়া যায় না।যেখানে পড়ুয়া ও শিক্ষকদের জীবন বিপন্ন।'বিচারপতির নির্দেশে খয়রামারি স্কুল পরিদর্শনে যান স্পেশাল অফিসার সুদীপ্ত দাশগুপ্ত।স্কুল গঙ্গার পার পরিদর্শনের পর স্থানীয় প্রশাসন ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি।হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এবং জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কে হাইকোর্টে হাজির হয়ে জবাব দিতেও নির্দেশ দেন। গত ২০ জুলাই হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি শিল্পা নন্দী জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুচন্দ্রা রায় হাইকোর্টে হাজির হয়ে স্কুলের জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানান।
আরও পড়ুন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধু চাই', অনুব্রত ইস্যুতে বিস্ফোরক সুজন
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন একজন স্পেশাল অফিসার অফিসার স্কুল পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেবেন।এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুলপড়ুয়াদের অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ক্লাস করাতে হবে।বিপদজনক ওই স্কুল বাড়িতে কোনও ক্লাস করা যাবেনা।দ্রুত নতুন স্কুল বাড়ি তৈরির কাজও শুরু করতে হবে। আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টের প্রতিনিধি দল আসেন হুগলির বলাগড়ে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চর খয়রামারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।সুদীপ্ত দাসগুপ্তর নেতৃত্বে র্পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল স্কুল ঘুরে দেখেন। কথা বলেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে আভিভাবকদের সঙ্গে।পাশাপাশি গ্রামের মানুষদের সঙ্গেও কথা বলে জানার চেষ্টা করে তাদের মতামত।সকলের মতামত লিখিত ভাবে নিয়ে তাদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। তবে মালদার এই স্কুলের ইস্যুতে কী অপেক্ষা করছে, তা সময়ই বলবে।