করুণাময় সিংহ, মালদাঃ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে (Face Book) বন্ধুত্ব করে মালদার মহিলার কাছ থেকে  ১৬ লক্ষ টাকা প্রতারণা (Malda  Money Fraud Case)। সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ। অভিযোগের তদন্ত নেমে দিল্লি থেকে অভিযুক্ত নাইজেরিয়ানকে গ্রেপ্তার মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশের। সোমবার অভিযুক্তকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেয় মালদা সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।


জানা গিয়েছে,  মালদহের মোথাবাড়ি থানা এলাকার এক মহিলার সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে নাইজেরিয়ান ওই যুবক। নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেয়। ফেসবুকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়তে থাকে। মালদা এসে ওই মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল উপযুক্ত নাইজেরিয়ান যুবক। দিল্লি কাস্টম অফিসে এসে সমস্যায় পড়ে এমনই গল্প তৈরি করেন ওই নাইজেরিয়ান যুবক। তারপর মালদার মহিলার কাছে টাকা চেয়ে পাঠায়। এইভাবে দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নেয় মহিলার কাছ থেকে। বিষয়টি মহিলা বুঝতে পেরে মালদা সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের তদন্তের নেমে মালদা সাইবার ক্রাইম থানার একটি পুলিশ টিম দিল্লি যায়। সেখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে মালদায় নিয়ে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত নাইজেরিয়ান যুবকের নাম বেনেডিট। বর্তমানে মালদা সার্ভার কাম থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।সম্প্রতি ১০ লক্ষাধিক প্রতারণার শিকার হন বীরভূমেরও এক বাসিন্দা। যদিও তিনি ফেসবুকে বন্ধুত্বের শিকার না হলেও ডিজিটালাইজেশনের অপপ্রয়োগের শিকার হন তিনি। একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে ১০ লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার শিকার হন বীরভূমের দুবরাজপুরের এক ব্যক্তি। উল্লেখ্য, বাংলায় একাধিক অ্যাপে টাকা লেনদেন করতে গিয়ে এর আগেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাজ্যের বাসিন্দা। ব্যাঙ্কের নামে কল করে এটিএম নাম্বার শেয়ার করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়েছেন, বাংলার একাধিক বাসিন্দা।


আরও পড়ুন, 'কোমরে দড়ি বেঁধে সিবিআই দফতরে নিয়ে আসা উচিত', অনুব্রত ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু-সুজনরা


প্রসঙ্গত, একাধিক অ্যাপে টাকা লেনদেন করতে গিয়ে এর আগেও প্রতারণার শিকার হয়েছেন রাজ্যের অসংখ্য মানুষ। গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকও একটি এমনই ভুয়ো কল পান। সাধারণ ফোনের ওপারে কলগুলি আসে, ব্যাঙ্কের থেকে বলছি বলে। তবে এমন ঘটনা এত ভুরি ভুরি হয়েছে, যে বাংলার বাসিন্দারা আগের থেকে অনেকটাই সতর্ক। তাই পুরোনো কায়দা কল করাটাও বদলেছে প্রতারক। গত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক তার ফোনের ট্রু কলারে দেখতে পান, তারই ব্যাঙ্কের নাম। এহেন ঘটনায় প্রতারক আরও একধাপ এগিয়ে ট্প কলারে বিশ্বাসযোগ্যতা হাসিল করতে, ব্যাঙ্কের নামে সেভ করে রেখেছে। আর ভরসা বাড়তেই ফের নতুন কায়দার ফাঁদে পড়ছেন গ্রাহকরা। তবে শুধু এই ঘটনাই নয়, পেটিএম-সহ একাধিক সংস্থার তথ্য হ্যাক করে প্রতারক টাকা তুলে ফেলেছেন নিমেশেই গ্রাহকদের থেকে।  সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফের বিপুল অঙ্কের অর্থ হারালেন ওই বাসিন্দা।