অভিজিৎ চৌধুরী,মালদা: বাজ ( Electrocution) পড়ে মৃত্যু হয় এক বধূর।  বছর একান্নোর মৃতার নাম অঞ্জলী বিশ্বাস (Anjali Biswas)। বামনগোলা থানার মানোলিগ্রামে মৃতার বাড়ি।জমিতে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনাটি ঘটে।তবে এই প্রথমবার নয়, আগেও বহুবার বাজ পড়ে মৃত্যুর (Death Case) ঘটনা ঘটেছে।  


জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী বাহাদুর বিশ্বাসের সঙ্গে এদিন সন্ধ্যায় জমি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন । ওই সময় বজ্রাঘাতে বিদ্যুস্পৃষ্ট হন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে স্থানীয় মোদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক এদিন রাতে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  স্থানান্তরিত করা হলে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মর্গে।


সম্প্রতি, বৃষ্টির সময় জমিতে আল বাঁধতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রের।  ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুরের বাঁকুইল গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর ১৪-র ওই কিশোরের নাম রুদ্র রায়। সে তার কাকার সঙ্গে জমিতে কাজ করতে যায়। সেই সময় বাজ পড়ে। এরপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।বর্ষা আসার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। কিছুদিন আগেই পুরুলিয়ায় বাজ পড়ে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩ জন মহিলার। দিঘায় বেড়াতে এসে সমুদ্রে স্নান করার সময় বাজ পড়ে মৃত ২। জানা যায়, উত্তর ২৪ পরগনার কল্যাণী থেকে দিঘায় আসেন ওই ২ পর্যটক। সেখানেই অঘটন। এদিকে, শালবনিতে বাজ পড়ে মৃত ২ জন।


আরও পড়ুন, ওনার নাম ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মুছুন, না হলে নেতাজির সমতুল্য ভাববে: অনুপম হাজরা


ক্ষণিকা ঘাটে সমুদ্রে স্নান করতে নেমে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয় দুই পর্যটকের। দুপুরের মেঘলা আবহাওয়ার মাঝে বাজ পড়ার জেরে কার্যত ঝলসে যায় তাঁদের শরীর। হালিশহর পৌরসভার অন্তর্গত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুগম পাল (২৪ ) ও কল্যাণীর বাসিন্দা শুভজিৎ পালের (২৫) মৃত্যু হয়। বজ্রাঘাতে আহত হন আরও একজন।অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ২ জনের। দিন কয়েক আগে দুপুরে এক সময়ে ভারী বৃষ্টি হয়, সঙ্গে বজ্রপাত। সে সময় এই ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন ১১ বছরের খাঁদু হাঁসদা এবং ৪২ বছরের আমেনা বিবি। খাঁদুর বাড়ি কর্ণগড়ের বালিজুড়িতে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।