অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল কুকীর্তি ! মানবাধিকার কমিশনের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে এসে অবৈধভাবে পণ্যবাহী গাড়ি থেকে তোলা হচ্ছিল টাকা । পুলিশের পরিচয় দিয়ে এভাবে টাকা তোলার অভিযোগে এবার গ্রেফতার হল বিহারের এক যুবক। চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যুবক। মালদা (Malda) জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর (Harischandrapur) থানার অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খোপাকাঠি চিকনা মোড় এলাকার ঘটনা। ধৃত যুবকের নাম সুমিত কুমার। বয়স ২৯ বছর। বাড়ি বিহারের (Bihar) কাঠিহার জেলার দেহারিয়া লক্ষ্মীটোলা এলাকায়। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।


এই এলাকা দিয়ে প্রত্যহ সেচ বিভাগের ছাইবোঝাই অনেক লরি যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিহার থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে চার জন যুবক মানবাধিকার কমিশনের স্টিকার লাগানো গাড়ি নিয়ে আসছিল। নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাস্তা দিয়ে যাওয়া গাড়ি থেকে অবৈধভাবে টাকা তুলছিল। আগের দিন রাতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। রাতের বেলায় এই ঘটনা দেখে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। সকাল হতেই তারা পাকড়াও করে এক জন যুবককে। বাকি তিন জন অবশ্য গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তারা অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। বাকি তিন জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 


খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান ইসলামপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জাকির হোসেন। তিনি বলেন, " আমি সকালে খবর পাই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিহার থেকে এসে এরা কুকর্ম চালাচ্ছিল। গ্রামবাসীর সচেতনতায় এক জন ধরা পড়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করব, এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দিতে।


আরও পড়ুন ; দুর্গাপুরে পুলিশ সেজে প্রতারণা, চোখের নিমেষে গয়না বদলে পাথর ধরিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের


মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। কিন্তু এলাকাটি বিহার সীমান্তবর্তী হওয়ায় প্রায়ই অপরাধমূলক কাজকর্ম হয়। অপরাধীরা সহজেই কাজ করে বিহারে পালিয়ে যায়। অতীতেও দেখা গেছে বিহার থেকে দুষ্কৃতীরা এসে হরিশ্চন্দ্রপুরে বিভিন্ন রকম অপরাধ করেছে। যদিও সাম্প্রতিক কালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এই ধরনের ঘটনা রুখতে যথেষ্ট তৎপর। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানিয়েছেন, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ।