মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর (পশ্চিম বর্ধমান): পুলিশ সেজে প্রতারণা। ভয় দেখিয়ে সোনার গয়না নিয়ে চোখের পলকে তা বদলে বদলে পাথর দিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের। ব্যাগ খুলে লক্ষাধিক টাকার সোনার গয়নার বদলে পাথর দেখতে পেয়ে মাথায় হাত প্রতারিতের। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের সিটি সেন্টার এলাকায়।


দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে বেসরকারি ব্যাঙ্কের সামনে পুলিশের পোশাক পরে দাঁড়িয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এরপর  এক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার বেলা ১১ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে।  দুর্গাপুরের এক বাসিন্দা সিটি সেন্টারের একটি ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। ব্যাঙ্কে  ঢোকার সময়  পুলিশের পরিচয় দিয়ে দুষ্কৃতীরা ওই ব্যক্তির পথ আটকে তাঁকে ভয় দেখায়।  তাঁর ব্যাগে কী রয়েছে, তা জানতে চায়। এরপর সমস্ত সোনার গয়না জমা রাখতে বলে। এরপর তাদের হাতে ব্যাগ তুলে দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাঁকে সেই ব্যাগ ফেরত দেয়। কিন্তু ততক্ষণে চোখের পলক ফেলার আগেই কায়দা করে সেই গয়না বদলে তার বদল পাথর ভরে ওই ব্যক্তিকে ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। ব্যাগ খুলে দেখে মাথায় হাত পড়ে ওই ব্যক্তির।


দুর্গাপুরের ওই বাসিন্দা ফিরে যাওয়ার পর জানতে পারেন তার গয়না চুরি হয়ে গেছে। শনিবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ফাঁড়িতে চন্দন কুন্ডু নামের ওই ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ জানান।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


কয়েকদিন আগে বেনাচিতি বাজারে একই ঘটনা ঘটেছে।  দুর্গাপুর শহরে পুলিশ সেজে নিত্যদিন লুটের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কুলটিতে  মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ঘরে বসে রোজগার করার টোপ দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারনার অভিযোগ উঠেছিল একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কুলটি থানার মানবেড়িয়া এলাকায় । ওই  সংস্থার দুই সদস্যকে হাতের সামনে পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন এলাকার মানুষ । ব্যাপক মারধর করে একটি ঘরে আটকে রাখা হয় তাদের । খবর পেয়ে ছুটে আসে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ । কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি । শেষপর্যন্ত কুলটি থানা , নিয়ামতপুর ফাঁড়ি ও সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশকে ছুটে যেতে হয় ওই আটকদের উদ্ধারে । পুলিশের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয়রা । শেষপর্যন্ত পুলিশ ওই  দুজনকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয় । মহিলাদের অভিযোগ ,শুকনো খাবার , আটা প্যাকেজিং করে রোজগারের টোপ দিয়ে ওই সংস্থা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে । কিন্তু কাজ কিছু হয় নি । সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়,  আসানসোলের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় আঠারোটি সেন্টার চালায় তারা । তাদের উদ্দেশ্য গরিব মহিলাদের স্বনির্ভর করে তোলা । কিন্তু লকডাউনের সময় কিছু অসুবিধা হওয়ায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে ।