করুণাময় সিংহ, মালদা: পঞ্চায়েত কার্যালয়ে কর্মরত সরকারি কর্মীকে পিস্তলের বাঁট দিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রধানের বিরুদ্ধে। মালদার কালিয়াচকের এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনার নিন্দা করেছে বিজেপি। 


পঞ্চায়েত অফিসে কাজ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন নির্বাহী সহায়ক! সরকারি কর্মীকে পিস্তলের বাট দিয়ে কপালে মেরেছেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান! গুরুতর ভাবে আঘাত করা হয়েছে নির্বাহী সহায়কের ডান হাতে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে সরগরম মালদার কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রামপঞ্চায়েত। 


জালালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কের পদে রয়েছেন মোবারক হোসেন। তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের প্রধান জুলফিকার আলির বিরুদ্ধে।


কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সেলিম হাবিব সর্দারের অভিযোগ, আমাদের কর্মীকে প্রধান মারধর করেছেন। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।


জালালপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান জুলফিকার আলি, আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। কারও প্ররোচনায় EA সাহেব এসব করছেন। আমি বিষয়টা খোঁজখবর নিয়ে দেখব। পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, দুর্নীতির অভিযোগে, গত শুক্রবার প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে।


তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অনাস্থা এনেছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্যদের একাংশ। নির্বাহী সহায়কের কাছে জমা পড়েছিল সেই সংক্রান্ত কাগজ। অভিযোগ, সেই রোষ থেকেই হামলা চালিয়েছেন প্রধান।


তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও, এবিষয়ে সতর্ক তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। মালদার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির দাবি, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি কী ঘটছে।


মালদা উত্তরের বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মুর কথায়, আমি শুনেছি সরকারি কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়েছে। নিন্দনীয় ঘটনা। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। সবমিলিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এবার তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে প্রশাসন কী ব্যবস্থা নেয়, এখন সেটাই দেখার।