করুণাময় সিংহ, কালিয়াচক : মানিকচকের পর এবার মালদার (Malda) কালিয়াচক। গঙ্গার ভাঙনে (Ganga Erosion) তলিয়ে গেল মন্দিরের একাংশ। আতঙ্কে নিরাপদ দূরত্বে সরে যাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলাশাসকের আশ্বাস, দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ হবে। ভাঙন রোধের দায় কার তা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
দশমীতে গঙ্গায় ভেসে কৈলাসের পথে রওনা দিয়েছেন উমা। সেই গঙ্গার ভাঙনই গিলে খেল মালদার কালিয়াচকের মন্দির। দেখতে দেখতে তলিয়ে গেল কংক্রিটের কাঠামোর একাংশ। এবার ভাঙনের গ্রাসে মালদার কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের পাড়লালপুর গ্রাম। দশমীর দিন থেকেই শুরু হয়েছে ভাঙন। ইতিমধ্যেই গঙ্গায় তলিয়ে গেছে মন্দিরের একাংশ। আতঙ্কে নিরাপদ দূরত্ব সরে যাচ্ছেন গঙ্গার পাড়ের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা অহল্লা হালদার জানান, রাত ২টো থেকে ভাঙন শুরু হয়। বিএসএফ জওয়ানরা এসে এখানে একটু শুয়ে থাকে, আরাম করে। রাতে ওরাই এসে এখানে চিৎকার করে সবাইকে তোলে। মন্দির ভেঙে গেল বলে চিৎকার করে। সেই সময় বাড়ির দরজা খুলে দেখি এই অবস্থা।
এদিকে ঘটনার পর সেচ দফতরের আধিকারিকরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মালদার জেলাশাসক জানিয়েছেন, এলাকায় ভাঙন হয়েছে। সেচ দফতরের আধিকারিকরা এলাকায় গেছেন। ভাঙন রোধের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভাঙন রোধের দায় কার ?
এই আবহে ভাঙন রোধের দায় কার, তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের চাপানউতোর। মালদায় তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, এই এলাকায় ভাঙন রোধের কাজের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কেন্দ্র কাজ করছে না, তাই রাজ্য নিজের সাধ্যমতো ভাঙন রোধের কাজ চালাচ্ছে।
যদিও বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ওই জায়গায় রাজ্য সরকারের সেচ দফতর কাজ করছে। সম্প্রতি কাজ চলছিল সেখানে। তার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটেছে। কাজের গুণগত মান নিয়ে আমরা আগে থেকেই বলেছি। আমরা আগেও বলেছি, রাজ্য সরকার যখন পারছে না, তখন এটা কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে দিক। তাতে মালদার মানুষ কিছুটা বাঁচবে।
DVC সূত্রে খবর, গঙ্গার নিম্নপ্রবাহে ১২ কিলোমিটার অংশে ভাঙন রোধের কাজের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। কালিয়াচকের এই অংশ সেই ১২ কিলোমিটার অংশের মধ্যে পড়ছে।
আরও পড়ুন ; ভয়াবহ ! মানিকচকে ৪টি বাড়ি তলিয়ে গেল গঙ্গা গর্ভে, আতঙ্কে এলাকা ছাড়ছে মানুষ