করুণাময় সিংহ, গাজোল: করোনা আবহে (Corona Situation) স্কুল (School) খুললেও কমে গিয়েছে পড়ুয়াদের হাজিরা। মালদার (Malda) গাজোলে ছাত্রছাত্রীদের (Students) স্কুলে ফেরাতে এবার অভিভাবকদের দুয়ারে শিক্ষকরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবক ও পড়ুয়াদের বোঝাচ্ছেন তাঁরা। এতেই হচ্ছে কাজ, বলছেন শিক্ষকরা।


স্কুলছুটদের স্কুলে ফেরাতে উদ্যোগী শিক্ষকরা। মালদার গাজোলে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরাতে অভিভাবকদের দুয়ারে হাজির তাঁরা। গাজোলের চিৎকুল রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়। স্কুল সূত্রে খবর, নবম থেকে দ্বাদশ মিলিয়ে প্রায় ৬০০ পড়ুয়া থাকলেও, এখন আসছে শদেড়েকেরও কম। কিন্তু কেন স্কুলে আসছে না পড়ুয়ারা? অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ অনভ্যাসেই স্কুলে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়েছে পড়ুয়ারা।


ছন্দে থাকা জীবনে আচমকাই ছন্দপতন ঘটিয়েছিল করোনা। বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল, পড়াশোনা, ক্লাস, খেলাধুলো। দেড় বছরেরও বেশি সময় পরে খুলেছে স্কুল, কিন্তু আগের সেই ছবিটা ফেরেনি। হাল না ছেড়ে, আগের ছবি ফেরাতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন শিক্ষকরা। এক অভিভাবক রাসমণি কর্মকারের কথায়, লকডাউন এর জন্য স্কুল বন্ধ। যার ফলে বাচ্চাদের স্কুল যাবার অভ্যাস চলে গেছে বললেই চলে। স্কুল খুলেছে জানার পর ওদের স্কুল যাওয়ার কথা বললেও নানা অজুহাতে স্কুলে যেতে চাইছে না। আগামীকাল থেকে নিয়ম করেই আমাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাবো আমরা।


এবার স্কুলের শিক্ষক দুয়ারে হাজির। তাই আর ঘরে বসে থাকা নয়, এবার স্কুলে যাবে বলে বলে জানিয়েছে পড়ুয়ারা। ওই স্কুলের এক ছাত্রী গীতা কর্মকারের কথায়, “কেউ স্কুলে যাচ্ছিল না বলে আমরা যাচ্ছিলাম না। এবার যাব।‘’ আরেক অভিভাবক অচিন্তা কর্মকারের কথায়, “এলাকার কোনও মেয়ে স্কুলে যাচ্ছে না। তাই আমার মেয়েও যাচ্ছিল না। এদিন মাস্টারমশাইরা বাড়ির দুয়ারে এসেছেন। আগামীকাল থেকে সবাই স্কুলে যাবে।‘’


বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝানোর ফলে স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা বাড়বে, আশাবাদী শিক্ষকরা। চিৎকুল রামকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুদীপ্ত মিশ্র বলেন, প্রধান শিক্ষক,  “আমরা এলাকায় মাইকিং করে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসার কথা বলছি। পাশাপাশি আমরা শিক্ষকেরা দলবেঁধে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে।’’


আরও পড়ুন: Jalpaiguri News: ওমিক্রন ঠেকাতে পদক্ষেপ, জলপাইগুড়ির ২টি ওয়ার্ডে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা