অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে একই রাতে দুটি বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকায়। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা পাকুয়াহাট পঞ্চায়েতের টিয়াটিকা এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনস্থলে গিয়ে চুরির তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট ফাঁড়ির পুলিশ।
তবে এক মাসের মধ্যে ওই এলাকায় বারংবার চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে? জানা যায়, টিয়াকাটি গ্রামের শিবনাথ বিশ্বাসের গোটা পরিবার রবিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাই। অপরদিকে মালতি পণ্ডিত, তিনিও ওই দিনই একটি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। এদিন সকালে দুই বাড়ির সদস্যরা প্রতিবেশীদের ফোনে খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে এসে দেখেন বাড়ির সদর দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় পরে রয়েছে।
বাড়ির সমস্ত জিনিস পত্র লন্ডভন্ড। চুরির পর চোরেরা দুই বাড়িতে তান্ডব চালায়। দুই পরিবারের বাড়ি থেকে বেশ কিছু সোনার অলংকার সহ প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা নিয়ে দুই বাড়ির গৃহ কর্তারা পাকুয়াহাট ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এদিনের চুরির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকা জুড়ে।
অন্যদিকে, মালদার আরেক জায়গায় ভুয়ো ওষুধ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওষুধ বিক্রির লাইসেন্সই (Drug Licence) ছিল না। তার উপর নিষিদ্ধ ওষুধের কারবার। হাতেনাতে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল মালদা পুলিশ (Malda police)। দোকান থেকে উদ্ধার হল প্রচুর পরিমাণ বেআইনি ওষুধ। তবে শুধুমাত্র একটি দোকানে নয়, মালদার যত্রতত্র এমন বেআইনি ওষুধের দোকান গজিয়ে উঠেছে এবং সেখানে রমরমিয়ে নিষিদ্ধ ওষুধের ব্যবসা চলছে বলে দাবি পুলিশের।
মালদার হরিশচন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত বারদুয়ারী এলাকার ঘটনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে একটি বেআইনি ওষুধের দোকানে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে ১১৫ বোতল কোরেক্স বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। এ ছাড়াও উদ্ধার হয় ফেনসিডিল-সহ বেশ কিছু বেআইনি ওষুধ উদ্ধার হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ২০ হাজার টাকা।