করুণাময় সিংহ, মালদা: ১৭ লক্ষ টাকা ফেরত না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে (Businessman) অপহরণ করলেন তৃণমূল নেতা (TMC)। চাঞ্চল্য মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে। অপহরণের ঘটনা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত, পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। ২২ ঘণ্টা পর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল পুলিশ।
মালদায় (Malda) ব্যবসায়ীকে অপহরণ তৃণমূল নেতার। টাকা ফেরত পেতেই অপহরণ। স্বীকার করলেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার হলেন ব্যবসায়ী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে (Harishchandrapur)। অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, বুধবার সন্ধেয় কাউয়ামারি নয়াটোলা এলাকার মাখনা কারখানা থেকে অজয় কুমার সাহানিকে অপহরণ করা হয়।
তিনি আদতে বিহারের দ্বারভাঙার বাসিন্দা। অভিযোগ, তিনটি মোটরবাইকে ৫ জন দুষ্কৃতী এসে ব্যবসায়ীকে অপহরণ (Kidnap Case) করে। কারখানার সিসি ক্যামেরায় ব্যবসায়ীর কোনও ছবি স্পষ্টভাবে ধরা না পড়লেও, কয়েকটি মোটরবাইকের ছবি ধরা পড়েছে।
এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা মহম্মদ বাহাদুরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে ব্যবসায়ীর পরিবার। অভিযুক্ত মহম্মদ বাহাদুর, স্থানীয় দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা সাহর বানুর স্বামী। তিনিও পেশায় ব্যবসায়ী।
ধার দেওয়া টাকা ফেরত পেতেই অজয় কুমারকে অপহরণ করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। অপহরণে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মহম্মদ বাহাদুর জানিয়েছেন, আমি ১৭ লক্ষ টাকা পাই। ১ বছর ধরে টাকা পাই। এই নিয়ে দুবার গ্রামে বসেছিলাম। তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই অপহরণ করেছি।
তৃণমূলের (TMC) এই স্বীকারোক্তির পরই, তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। যদিও এই ঘটনা তারা কোনওভাবেই সমর্থন করে না বলে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগ, বুধবার সন্ধে ৬টা নাগাদ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। ২২ ঘণ্টা পর, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুরের বাঙ্গরুয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সেখানে অভিযান চালায় তারা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, হাত-পা বেঁধে ব্যবসায়ীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়েছিল। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা।