অভিজিৎ চৌধুরী, চাঁচল : অকাল বৃষ্টিতে সর্ষে ও শীতকালীন সব্জি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। মালদার চাঁচলে বুধবার ভোররাত থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।


চাঁচল ১ নম্বর ব্লকের কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেব জানান, চলতি মরসুমে চাঁচল-১ নং ব্লকের মৌজাগুলিতে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে সর্ষের চাষ হয়েছে। বুধবার ভোররাতে বৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পরিদর্শন করে এসেছি। তেমন কিছু ক্ষতি দেখা দেয়নি। তবে টানা বৃষ্টির ফলে ফসলে স‍্যাঁতসেঁতে ভাব থাকলে ধসা জাতীয় রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। তাতে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ স্প্রে করলেই রোগ দমন করা যাবে। তবে রোদ উঠলে সেই আশঙ্কা একেবার দূর হয়ে যাবে।


কলিগ্রাম মৌজার চাষি মোজাম্মেল হক জানান, এবছর ঋণ নিয়ে তিন বিঘা জমিতে সর্ষের চাষ করেছি। অর্ধেক জমিতে ফুল এসেছে। কিন্তু, ভোর থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। বুধবার সূর্যেরও দেখা মেলেনি। তাই খেতের ক্ষতি হতে পারে। সর্ষের ফলন নাহলে সমস‍্যার সম্মুখীন হব।


উল্লেখ্য, বর্তমান বাজ‌ারে ভোজ‌্যতেলের দাম বেশি হওয়ায় আমন ধান তোলার পর  চাঁচল-১ নং ব্লকের সিংহভাগ কৃষক তেলের চাহিদা পূরণের জন‌্য বেশি করে সর্ষে আবাদ করেছেন। কিন্তু শীতকালে অসময়ের বৃষ্টি তাঁদের সেই আশাকে নষ্ট করে দিয়ে দগদগে ক্ষত দিয়ে যাচ্ছে।


আরও পড়ুন ; ফের নামল পারদ, নতুন বছরের শুরু থেকে ফের জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা


প্রসঙ্গত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে পৌষেও অকাল বর্ষণ। কলকাতার (Kolkata) পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরই মধ্যে আজ কলকাতায় প্রায় এক ডিগ্রি নামল পারদ। মহানগরীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। বড়দিনের সময় থেকে কলকাতায় উধাও শীতের কনকনানি। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও একই অবস্থা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস (Alipore Meteorological Office), পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়া বাধা পাওয়ায় বেড়েছে তাপমাত্রা। বাধা কাটলেই ধীরে ধীরে নামতে শুরু করবে পারদ। নতুন বছরের শুরু থেকে ফিরবে শীতের (Winter) আমেজ।