মালদা: রাজ্য-রাজনীতির উত্তাল পরিস্থিতির মাঝেই মর্মান্তিক ঘটনা মালদায় (Malda)। মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর, জুতোপেটা করার অভিযোগের ঘটনাকে ঘিরে তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Amit Malviya and Smriti Irani)। পাশাপাশি শাসকদলের হয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)। 


কী ঘটেছিল মালদায় ?


মূলত চুরির অভিযোগে মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর, জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। চুরির অভিযোগে ওই দুই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি দুই নির্যাতিতার পরিবারের। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি এই অভিযোগ প্রকৃতই সত্য ? যদিও পরিবারের দাবি, হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন দুই জা। সেইসময় চোর সন্দেহে তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে পুলিশের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


মালদাকাণ্ডে সরব বিজেপি


এই ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন অমিত মালব্য। তিনি ট্যুইট করে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন,'পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক অব্যহত। মালদায় দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এবং এই ঘটনার সময় নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল রাজ্য পুলিশ।  ১৯ জুলাই সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।' প্রসঙ্গত, রাজ্যে যখন একের পর এক অপরাধের ঘটনা ঘটছে, তখন বারবার রাজ্যের তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এসেছে মণিপুরের অশান্তির প্রসঙ্গ। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেও এই প্রসঙ্গে সরব ছিলেন মমতা ও অভিষেক। আর এবার মালদা ঘটনা প্রকাশ্য আসতেই ট্যুইটে সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। আদিবাসী মহিলাদের উপর নির্যাতন নিয়ে তিনি রাজ্যের শাসকদল এবং পাশাপাশি কংগ্রেসকেও তোপ দাগতে ছাড়েননি। 





আরও পড়ুন, 'গর্ভবতী মহিলার পরিবার আক্রান্ত, এটাই তো ডায়মন্ড হারবার মডেল', বিস্ফোরক শুভেন্দু


'এই ঘটনাকে রাজনীতির চশমায় কেন দেখা হচ্ছে ?' প্রশ্ন রাজ্যের মন্ত্রীর


যদিও গোটা ঘটনায় শাসকদলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় অন্য যুক্তি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার। তিনি বলেছেন,' যেই দুই জন মহিলা চোর ছিলেন, তাঁদেরকে পাঁকড়াও করেন যারা, তারাও মহিলা পুলিশ কর্মী। তাঁদের গ্রেফতার করার সময়, ধস্তাধস্তি হয়। বেচারারা সবাই গরীব।ধস্তাধস্তিতে কাপড় সরে যায়। কিন্তু এই ঘটনাকে রাজনীতির চশমায় কেন দেখা হচ্ছে ?  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সিভিক পুলিশও এগিয়ে যায় , কিন্তু মহিলারা নিজের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নিয়েছে। এটা তো ঠিক নয়। যাই হোক এটির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।'