কলকাতা: নারী নির্যাতনের ইস্যুতে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে তীব্র আক্রমণ করলেন অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) । সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। হাওড়া-সহ সদ্য প্রকাশ্যে আসা মালদায় ২ মহিলাকে 'বিবস্ত্র করে মার'-র অভিযোগের ঘটনায় মুখ খুললেন অনুরাগ ঠাকুর। তৃণমূল সুপ্রিমোকে (Mamata Banerjee) নিশানা করে তিনি বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা কোথায় আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক।' যদিও নিশানার থেকে বাদ পড়েননি প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও।
এদিন অনুরাগ ঠাকুর বলেন,'অপরাধের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলা, ভোটের সময় বোমার খবর বেশি পাওয়া যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা কোথায় আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মালদায় দুই মহিলাকে মারতে মারতে অর্ধনগ্ন করা হয়েছে। হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপি প্রার্থীকে বিবস্ত্র করে ঘুরিয়েছে তৃণমূলের ৪০ জন গুন্ডা। কেউ কোনও কথা বলছে না, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন। মমতার রাজ্যে ঘটছে একের পর এক লজ্জাজনক ঘটনা। কোথায় গেলেন মোমবাতি মিছিল করা প্রতিবাদীরা?' প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'মেদিনীপুর, ডেবরায় আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হয়েছে। বাংলা-বিহার-রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীরা দায় অস্বীকার করতে পারবেন না। ভয়ের বাতাবরণে বাঁচছেন বাংলার মহিলারা। কী করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কংগ্রেস আমলে মণিপুরের অবস্থা আরও খারাপ ছিল। মণিপুর নিয়ে সংসদে আমরা আলোচনা চাইছি, কেন এতে ভয় পাচ্ছেন বিরোধীরা? একটি দলের কেউ সংসদে নেই বলে কি সংসদ চলতে দেওয়া হচ্ছে না? বাংলায় মমতা নির্মমতার প্রতীক।'
মূলত চুরির অভিযোগে মালদায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর, জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে। চুরির অভিযোগে ওই দুই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে দাবি দুই নির্যাতিতার পরিবারের। এবার প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি এই অভিযোগ প্রকৃতই সত্য ? যদিও পরিবারের দাবি, হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন দুই জা। সেইসময় চোর সন্দেহে তাঁদের বিবস্ত্র করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তবে পুলিশের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন, মালদায় ২ মহিলাকে 'বিবস্ত্র করে মার', ট্যুইটে সরব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, পাল্টা প্রশ্ন শাসকদলের
যদিও গোটা ঘটনায় শাসকদলের তরফে প্রতিক্রিয়ায় অন্য যুক্তি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজার। তিনি বলেছেন,' যেই দুই জন মহিলা চোর ছিলেন, তাঁদেরকে পাঁকড়াও করেন যারা, তারাও মহিলা পুলিশ কর্মী। তাঁদের গ্রেফতার করার সময়, ধস্তাধস্তি হয়। বেচারারা সবাই গরীব।ধস্তাধস্তিতে কাপড় সরে যায়। কিন্তু এই ঘটনাকে রাজনীতির চশমায় কেন দেখা হচ্ছে ? পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সিভিক পুলিশও এগিয়ে যায় , কিন্তু মহিলারা নিজের হাতে আইন-শৃঙ্খলা তুলে নিয়েছে। এটা তো ঠিক নয়। যাই হোক এটির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।'