করুণাময় সিংহ ও অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: পুরাতন মালদার (Malda) খনিবাথান এলাকায় সাংঘাতিক ঘটনা। স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের (murder) অভিযোগ উঠল পুলিশকর্মী (Police) স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। অভিযুক্তকে গ্রেফতার (arrested) করেছে পুলিশ।


স্ত্রীর ‘খুনি’ পুলিশকর্মী!


যে লাঠি নিয়ে সারাদিন ডিউটি করতেন, শাসন করতেন অপরাধীদের, রক্ষা করতেন আইন। অভিযোগ, বাড়ি ফিরে রাতে সেই লাঠি দিয়েই স্ত্রীর ওপর অকথ্য অত্যাচার করতেন। 


পুরাতন মালদার খনিবাথান এলাকায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল পুলিশকর্মী স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত্যু হয়েছে বছর ২৫-এর মাম্পি মণ্ডলের। শুক্রবার, সকালে বাড়ির অদূরে একটি গাছে ঝুলতে দেখা যায় মহিলার মৃতদেহ। রহস্যজনকভাবে দুই হাঁটুই ছুঁয়ে ছিল মাটি। পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত পুলিশকর্মী জয়ন্ত মণ্ডল। 


৭ বছর আগে বিয়ে। জয়ন্ত ও মাম্পির ২ সন্তানও রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অশান্তি লেগেই ছিল। ইদানিং, স্বামীর সঙ্গে এক মহিলার সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করেন মাম্পি। এরপরই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। 


মৃতের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার, লাঠি দিয়ে মারধর করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় মাম্পিকে। এরপর, বাড়ির কাছে একটি গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দেহ। 


মৃতের মা শকুন্তলা মণ্ডলের কথায়, 'বিয়ের পর থেকেই অত্যাচার করত। চাকরির সময় ১ লক্ষ টাকা দিয়েছি। গতকালও মেরেছে। কঠোর শাস্তি চাই।' মৃতার আত্মীয় রামু মণ্ডলের কথায়, 'যে লাঠি নিয়ে জামাই জয়ন্ত মণ্ডল ডিউটি করত, সেই লাঠি দিয়েই বাড়িতে এসে মেয়েটাকে প্রতিনিয়ত মারধর করে অত্যাচার চালাত। জামাইয়ের সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিল ভাইজি। এনিয়ে প্রতিবাদ করেছিল। পিটিয়ে খুন করে বাড়ির অদূরে আম গাছে ঝুলিয়ে দেয়, হাঁটু ভাঁজ করা অবস্থায় ছিল।'


আরও পড়ুন: Fair Price Medicine Shop: প্রশ্নের মুখে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের ন্যায্য মূল্যের ওষুধ দোকানের পরিকাঠামো


অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী ও তাঁর ঠাকুমার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী জয়ন্ত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে।