করুণাময় সিংহ, মালদা : বঙ্গে 'একলা চলো' বার্তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্তুতি শোনা গেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের মুখে। লোকসভা ভোটের আগে শেষমেশ কংগ্রেস-তৃণমূলের কী সমীকরণ হতে চলেছে তা সময় বলবে। এই আবহে মালদা জেলায় একই দিনে দুই হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীর কর্মসূচি ঘিরে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। একদিকে ন্যায় যাত্রা নিয়ে ৩১ জানুয়ারি মালদায় প্রবেশ করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। একই দিনে মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এনিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে তুঙ্গে কাজিয়া। মালদা শহরের ডি এস এ ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। 


কংগ্রেসের বক্তব্য, তাদের কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত। আর তা ভণ্ড করতে ইচ্ছা করেই সেদিন মালদা জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।


৩১ জানুয়ারি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া হয়ে ইংরেজ বাজারে আসার কথা রাহুলের। রাতে থাকতে পারেন মালদার সুজাপুরে । এরপর ১ তারিখে মালদা থেকে মুর্শিদাবাদে  পৌঁছাবে ন্যায় যাত্রা। ৩১ তারিখে ইংরেজবাজারের ডিএসএ ময়দানে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা।


জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আর সেই কারণে তাদের কর্মসূচি লন্ডভন্ড করার জন্য ইচ্ছে করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রাখা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যতিব্যাস্ত করে তোলাই উদ্দেশ্য।


পাল্টা জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, "এই রাজ্যে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই। রাহুল গাঁধী রাহুল গাঁধীর কর্মসূচি করবেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব প্রশাসনিক সভা রয়েছে।"


এদিকে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল থেকে সরে যাচ্ছে, সেই আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল, আর সেই কারণেই কংগ্রেসের কর্মসূচির দিন ইচ্ছে করে প্রশাসনিক সভা রেখেছে বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক ।


দু’দিন বিশ্রামের পর, বাংলায় ফের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু করছেন রাহুল গান্ধী। এদিন সকালে, জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড় থেকে শুরু হয় রাহুলের যাত্রা। হুড খোলা গাড়িতে চেপে জনসংযোগ করেন তিনি। গাড়িতে বেশ কিছুটা পথ রাহুলের সঙ্গী ছিলেন অধীর চৌধুরী। এরপর শিলিগুড়িতে হুডখোলা জিপে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সাংসদ। বক্তব্যের গোড়াতেই রাহুল শিলিগুড়ির নাম মুখে আনায় উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়ে রাহুল বলেন, 'আমি বললামই না। আর আপনারা মহব্বতের দোকান খুলে দিলেন। তাও আবার ফ্রিতে। একেবারে মন খুলে।'