অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা: মহানন্দার জল ঢুকতে শুরু করেছে পুরাতন মালদা (Malda) পুরসভার অসংরক্ষিত এলাকায়। এর ফলে স্বভাবতই খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে কয়েকশো পরিবার। ইতিমধ্যেই প্রাণ বাঁচাতে ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেশ কিছু বাসিন্দা স্থানীয় মাদ্রাসায় অস্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করেছেন। অনেকে আবার রাস্তার ধারেই ত্রিপল টাঙিয়ে বসবাস করতে শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই অবস্থায় শুধুমাত্র ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর (Councillor) তাঁদের খোঁজ নিতে আসেন, বাকি কারও দেখা মেলেনি।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই একটানা বর্ষায় লাগাতার জলস্তর বেড়েছে গঙ্গা ও ফুলহরের। যদিও কয়েকদিন ধরে ওই দুই নদীর জলস্তর কমতে শুরু করেছে, তবুও এই মুহূর্তে গঙ্গা ও ফুলহর দুই নদীর জলই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। মহানন্দার জলস্তরও বেশ কিছুদিন বাড়তে থাকার পর এবার কমতে শুরু করেছে। শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল মহানন্দার জলস্তর ছিল ২০.৪৩ মিটার। কিন্তু এরই মধ্যে নদীর জল ঢুকে পড়েছে লোকালয়ে। জলমগ্ন পুরাতন মালদা পুরসভার ৮ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নিচু অংশ গুলো। খুব স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়েছে কয়েকশো পরিবার। বানভাসিদের রক্ষার্থে এদিন থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে ওসমানিয়া হাই মাদ্রাসা। সেখানেই অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক গ্রামবাসী।


আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জের, ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে


এমনকী ঘর ছেড়ে রাস্তার ধারে ত্রিপল টাঙিয়েও আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। এমনই এক বাসিন্দা ভাসানি হালদার বলছেন, 'একমাত্র প্রাক্তন কাউন্সিলর ছাড়া আর কেউ আমাদের দেখতে আসেনি। কোনও খাবার পাইনি। একটু খাবার পেলে খুব ভাল হয়। খুব কষ্টে আছি।' আরও অনেকেরই অভিযোগ এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও সহযোগিতা করেননি। তাঁরা প্রত্যেকেই আপাতত খানিক আশ্রয় ও প্রশাসনিক সহযোগিতার আশায় দিন গুনছেন। যদিও দ্রুত ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুরাতন মালদা পুরসভা।